মাহফিজুর রহমান সাগর
অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল- আমি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেব। পরিকল্পনাটা করেছিলাম ২০১৫-১৬ সালের দিকে। সোলো করার ইচ্ছা ছিল। ফাইনালি রিলেতে করেছি। দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতে থাকতে ২০২৩ সালে আমরা স্লট পাই। এই স্লটে ২০২৫ এ সাঁতার কাটতে পারব- এই রকম। কিন্তু টিম দরকার ছিল আমার জন্য। রিলে টিম বানাতে একটু চাপ নেওয়া লাগছে আমার।
এখানে উপযুক্ত টিম ছাড়া যদি অন্য যেকোনো একজনের ভুলে পুরো টিম ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বা পরিকল্পনাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখানে অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ভিসা প্রসেস থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনার ব্যাপার ছিল। এছাড়া আবহাওয়া, পানির তাপমাত্রাসহ অন্য বিষয়গুলোও ছিল। একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম।
তবে ঠান্ডা পানিতে, আইস বার্থ, রেগুলার সুইমিং করে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।
রাতে কখনো সুইমিংপুলেও সাঁতার কাটিনি। পুকুরেও না। আমাদের সাঁতারটা শুরু হয়েছিল রাত ২টা ৪৩ মিনিটে। আমিই শুরু করেছিলাম ইংল্যান্ডের সাইড থেকে। তো আটলান্টিক মহাসাগরে ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা- খুবই ভয়াবহ অবস্থা। তার আগে সি সিকনেস তৈরি হয়ে গিয়েছিল আমার।
যেখান থেকে সাঁতার শুরু সেখান থেকে। এর মধ্যে ২০-২৫ মিনিটের একটা দূরত্ব ছিল, যেটি বোটের দূরত্ব। বোটে করে যেতে হয়। তো ওখানে যাওয়ার সময় বমি শুরু করে দিই। চিন্তা করি, এই অসুস্থতা নিয়ে কী আমি সাঁতার কাটব, কীভাবে সম্ভব। তারপর বমি করতে করতে ফাইনালি দ্রুত প্রস্তুত হয়েছি এবং সাঁতার শুরু করেছি। সাঁতার শুরু করার পরও বমি করি। এভাবে চলতে চলতে এক সময় ফ্রান্সে যাই।
ঠান্ডা পানি, ঢেউ, ঢেউয়ের বিপরীতে সাঁতার কাটা, লবণাক্ত পানি, জেলি ফিশ, মাঝ সমুদ্রে জাহাজ আসা-যাওয়ার ঢেউ, ফেরি যাতায়াত- আসলে এসব মিলে রূপকথার গল্পের মতোই ব্যাপারটা আসলে। ইংল্যান্ড থেকে শুরু করেছি আমি। আর ফ্রান্সের গিয়ে স্পর্শ করা বা দাঁড়ানো- সেটাও আমার। সেক্ষেত্রে আসলে সবকিছু মিলে এটা ছিল একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। ব্যাপারটি স্বপ্নের থেকেও সুন্দর বলা যায়। সবকিছু মিলে আমি সার্থক, সাফল্য এসেছে। আমি মনে করি, সাফল্য পাওয়ার পেছনে মানসিক শক্তিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
* মাহফিজুর রহমান সাগর, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারু
অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল- আমি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেব। পরিকল্পনাটা করেছিলাম ২০১৫-১৬ সালের দিকে। সোলো করার ইচ্ছা ছিল। ফাইনালি রিলেতে করেছি। দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকতে থাকতে ২০২৩ সালে আমরা স্লট পাই। এই স্লটে ২০২৫ এ সাঁতার কাটতে পারব- এই রকম। কিন্তু টিম দরকার ছিল আমার জন্য। রিলে টিম বানাতে একটু চাপ নেওয়া লাগছে আমার।
এখানে উপযুক্ত টিম ছাড়া যদি অন্য যেকোনো একজনের ভুলে পুরো টিম ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বা পরিকল্পনাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখানে অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, ভিসা প্রসেস থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনার ব্যাপার ছিল। এছাড়া আবহাওয়া, পানির তাপমাত্রাসহ অন্য বিষয়গুলোও ছিল। একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম।
তবে ঠান্ডা পানিতে, আইস বার্থ, রেগুলার সুইমিং করে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।
রাতে কখনো সুইমিংপুলেও সাঁতার কাটিনি। পুকুরেও না। আমাদের সাঁতারটা শুরু হয়েছিল রাত ২টা ৪৩ মিনিটে। আমিই শুরু করেছিলাম ইংল্যান্ডের সাইড থেকে। তো আটলান্টিক মহাসাগরে ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা- খুবই ভয়াবহ অবস্থা। তার আগে সি সিকনেস তৈরি হয়ে গিয়েছিল আমার।
যেখান থেকে সাঁতার শুরু সেখান থেকে। এর মধ্যে ২০-২৫ মিনিটের একটা দূরত্ব ছিল, যেটি বোটের দূরত্ব। বোটে করে যেতে হয়। তো ওখানে যাওয়ার সময় বমি শুরু করে দিই। চিন্তা করি, এই অসুস্থতা নিয়ে কী আমি সাঁতার কাটব, কীভাবে সম্ভব। তারপর বমি করতে করতে ফাইনালি দ্রুত প্রস্তুত হয়েছি এবং সাঁতার শুরু করেছি। সাঁতার শুরু করার পরও বমি করি। এভাবে চলতে চলতে এক সময় ফ্রান্সে যাই।
ঠান্ডা পানি, ঢেউ, ঢেউয়ের বিপরীতে সাঁতার কাটা, লবণাক্ত পানি, জেলি ফিশ, মাঝ সমুদ্রে জাহাজ আসা-যাওয়ার ঢেউ, ফেরি যাতায়াত- আসলে এসব মিলে রূপকথার গল্পের মতোই ব্যাপারটা আসলে। ইংল্যান্ড থেকে শুরু করেছি আমি। আর ফ্রান্সের গিয়ে স্পর্শ করা বা দাঁড়ানো- সেটাও আমার। সেক্ষেত্রে আসলে সবকিছু মিলে এটা ছিল একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। ব্যাপারটি স্বপ্নের থেকেও সুন্দর বলা যায়। সবকিছু মিলে আমি সার্থক, সাফল্য এসেছে। আমি মনে করি, সাফল্য পাওয়ার পেছনে মানসিক শক্তিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
* মাহফিজুর রহমান সাগর, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারু
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৫ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৫ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
৬ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে