পশ্চিমা গণমাধ্যমে ইসলামভীতি ছড়ানোর প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ। ইসলামবিদ্বেষী প্রোপাগাণ্ডার কারণে বিশ্বব্যাপী বৈষম্যের শিকার হচ্ছে মুসলিমরা।
একজন সাংবাদিককে বস্তুনিষ্ঠ, যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণধর্মী তথ্য সাহসিকতার সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে তরুণ প্রজন্ম বুঝতে পারে সাংবাদিকতা একটি পবিত্র দায়িত্ব, এটা আমানত, এটা জনগণের মুখপত্র।
চলতি বছর দেশে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর জনমনে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কর্মরত বগুড়াবাসীদের নিয়ে গঠিত বগুড়া মিডিয়া এন্ড কালচারাল সোসাইটি, ঢাকা (বিএমসিএস)-এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। ২০২৫ - ২৭ মেয়াদের জন্য গঠিত আট সদস্য বিশিষ্ট আংশিক এই কমিটির সভাপতি হয়েছেন
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভায় গোপাল ভাঁড় ছিলেন একজন কৌতুকপ্রিয়, ব্যঙ্গাত্মক কিন্তু তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন চরিত্র।
মিথ্যা তথ্যের জোয়ারে এবং স্বার্থান্বেষী নেতৃত্বের প্রভাবে আজ আর সামাজিক ন্যায় বা মূল্যবোধ নিয়ে সত্য জানা বা শেখা সম্ভব নয়
একটি গণঅভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা আমরা দেখছি না। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরের মতো গণমাধ্যমেও পতিত ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহকদের দেখা যাচ্ছে। খোদ অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যাকেই নানা মহল বিতর্কিত এবং প্রশ্নসাপেক্ষ করার প্রয়াস চালাচ্ছে।
গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হচ্ছে বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। একটি রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বিরাজমান কি না- তা বোঝা যায় সে দেশের গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন তা দেখে। যখন টিভি, রেডিও, অনলাইনসহ গণমাধ্যমের এত প্রসার ঘটেনি, তখন সংবাদপত্রে চোখ বুলিয়েই অনুধাবন করা যেত গণতন্ত্রের সূচক কোন পর্যায়ে
২০১১ সালের ১৪ মে যাত্রার সূচনা হয় অনলাইন গণমাধ্যমটির। তবে এটি কেবল একটি অনলাইন পোর্টালের নয়— এটি ছিল সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর এক সাহসী পদক্ষেপ। তখন কোনো বড় পৃষ্ঠপোষকতা, কর্পোরেট বিনিয়োগ ছিল না, ছিল কেবল একটি মিশন মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা। ১৫ বছর পর পেছনে তাকালে গর্ব হয়— কারণ আমরা সত্য ও ন্যায়ের
যুদ্ধ উন্মাদনায় ভাসছে ভারতের গণমাধ্যম। পাক-ভারত সংঘাতের প্রকৃত তথ্য তো দূরে থাক ভুয়া তথ্য ছড়ানো, ভারতের ক্ষতির তথ্য অস্বীকার করা- এমনকি গাজা যুদ্ধের ছবিকে পাকিস্তানে হামলার ছবি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসকে কেন্দ্র করে এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ই্উনুস আহমেদ এই ঘোষণা দেন।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে কমিশন স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
সাতটি গণমাধ্যমের মালিক বসুন্ধরা গ্রুপ। ২০০৯ সালে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব গণমাধ্যমের মালিক হয় দেশের অন্যতম শীর্ষ এ শিল্পগোষ্ঠী।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেবে কি না, তার ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করে গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা, নির্ভুলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর।
শেখ হাসিনার পতনের পর গণমাধ্যমের শীর্ষ পদে রদবদল হয়েছে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালের অন্তত ৩০-৩৫টি জায়গায় বিভিন্ন পদে এ রদবদল হয়। কয়েকটি মিডিয়ার মালিকানাও বদল হয়েছে।
একটি দেশের গণমাধ্যম তার চেতনার দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু যখন সেই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থ, তখন গণমাধ্যম আর স্বাধীন থাকে না, হয়ে ওঠে এক অভিনব উপনিবেশ। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা কতটা ছিল, সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ।