প্রশাসক নিয়োগের মধ্য দিয়ে মুদ্রণশিল্প সমিতি থেকে বিতাড়িত হলেও সরকারের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে সেই আওয়ামী সিন্ডিকেট। এরই মধ্যে টেন্ডার হওয়া এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার কাজের মধ্যে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান ৩৫ শতাংশ কাজ পেয়েছে বলে জানা গেছে।
অবশেষে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে ঢাকা ক্লাবে গোপন বৈঠকের ষড়যন্ত্রের হোতাদের।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে শুরুতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মুদ্রণশিল্পের ছদ্মাবরণে এ ষড়যন্ত্রে জড়িত সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ভাইসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সক্রিয় নেতাকর
নাম ও পদবী প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্তা ব্যক্তি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা সাতপাঁচ করে ১৫ বছর ধরে অনেক রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট করেছেন। ফলে তদন্তে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ভাই রাব্বানী জব্বার ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাই ১ কোটি ৩৩ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপার কাজ পান। জুলাই বিপ্লবের পর সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের এত সংখ্যক বই ছাপার কাজ পাওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সরকারি এ কাজের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।
আগামী শিক্ষাবর্ষে যথাসময়ে বিনামূল্যের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে চায় সরকার। এজন্য এবার বই ছাপার কাজ আগেভাগেই শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরইমধ্যে অধিকাংশ বইয়ের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
প্রক্রিয়াজাত খাবারের অতিরিক্ত লবণে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ জটিল সব অসংক্রামক রোগের মারাত্মক ঝুঁকি থাকায় জাতীয় পাঠ্যক্রমে লবণের ক্ষতিকর প্রভাব অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে।
ভারতে এনসিইআরটি সপ্তম শ্রেণির স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে মুঘল ও দিল্লি সুলতানি আমলের সমস্ত উল্লেখ বাদ দিয়েছে এবং ‘ভারতীয় ঐতিহ্য’, ‘মহাকুম্ভ’, ‘বেটি বাঁচাও’, বেটি পড়াও, মেক ইন ইন্ডিয়া এবং ফ্ল্যাগশিপ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের উল্লেখ করে একটি অধ্যায় যুক্ত করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এতথ্য জানিয়েছে
পাঠ্যবই নিয়ে নজিরবিহীন সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার পাঠ্যবই মুদ্রণে বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা আগামী তিন মাসেও পাঠ্যবই পাবে না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পাঠ্যবই নিয়ে বড় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ২৩৫০ কোটি টাকার পাঠ্যবই মুদ্রণে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা আগামী তিন মাসেও পাঠ্যবই পাবে না।
মুদ্রণশিল্পের সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু ব্যক্তির ষড়যন্ত্রে এনসিটিবির পরিকল্পনা পণ্ড হয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা। মাঠ পর্যায়ে তথ্য নিয়েও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ষড়যন্ত্রের তথ্য পাওয়া গেছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার এনসিটিবির পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও এ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ বইও ছাপা হয়নি।
জুন মাস থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়। এবার রাজনৈতিক কারণে যথাসময়ে বই ছাপার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ধারিত সময়ে বই পৌঁছানোর বিষয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে।