গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা চান ট্রাম্প

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০: ৪৩
ছবি সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চান তিনি। ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চান কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদ থাকুক। তারা নরকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’ খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু’র।

গত ফেব্রুয়ারিতে গাজার মালিকানা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ এই পরিকল্পনা ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলো। তবে ট্রাম্প গত তিন মাস ধরে মাঝে মাঝেই এই প্রস্তাব উত্থাপন করে চলেছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি আশা করেন যে ‘আগামী সপ্তাহের যেকোনো সময়’ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে গাজা এবং ইরান নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।

আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ৫৭ হাজার ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরাইলের হামলায় একদিনে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদেরমধ্যে ৭৩ জন মারা যায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে। নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে ইসরাইলের হামলা শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএফএইচ) ত্রাণ শিবিরে সামান্য খাবারের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। খাবারের পরিবর্তে বিনা উষ্কানিতে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী।

আল মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলি হামলায় মারা যায় ১৩ জন ফিলিস্তিনি। এদেরমধ্যে এক দম্পতি ও তাদের চার সন্তনও রয়েছেন।

এছাড়া, গাজা সিটির মুস্তফা হাফেজ স্কুলে আরেকটি হামলায় মারা যায় ১১ জন। এখানে ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।

গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে একটি ত্রাণ শিবিরে হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হন শতাধিক মানুষ। আর বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে তিনজন।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত