আমার দেশ অনলাইন
মারওয়ান বারঘুতি, বর্তমানে কারাবন্দি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সিনিয়র ফিলিস্তিনি নেতা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সমর্থকদের কাছে তিনি ‘ফিলিস্তিনি নেলসন ম্যান্ডেলা’ হিসেবে পরিচিত।
শুক্রবার, বহু বছর পর প্রথমবারের মতো তার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির তার সেলে ঢুকে তাকে হত্যার হুমকি দেন।
তারিখবিহীন ভিডিওটিতে দেখা যায়, অতিডানপন্থী এই মন্ত্রী ইসরাইলি কারাগারের একান্ত বন্দিশালায় ঢুকে দৃশ্যত দুর্বল বারঘুতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বারঘুতি সাদা টি-শার্ট পরিহিত।
প্রহরী ও ক্যামেরায় ঘেরা অবস্থায় মন্ত্রী বলেন, তোমরা আমাদের হারাতে পারবে না। যারা ইসরাইলের জনগণকে টার্গেট করে এবং আমাদের সন্তান ও নারীদের হত্যা করে, তাদের মুছে ফেলা হবে। এটা তোমাকে জানতে হবে।
বারঘুতি ১৯৫৯ সালের ৬ জুন রামাল্লার কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেই বছরই জন্ম নেয় ফিলিস্তিনি জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ফাতাহ, যাতে বারঘুতি ১৯৭৪ সালে যোগ দেন।
১৯৭৮ সালে প্রথমবারের মতো তিনি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন—একটি সশস্ত্র সংগঠনের সদস্য হওয়ার দায়ে চার বছর কারাভোগ করেন তিনি। কারাগারে বারঘুতি ইংরেজি ও হিব্রু শেখেন, পড়াশোনা শেষ করেন এবং ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানেই তিনি আইনজীবী ফাদওয়া ইব্রাহিমের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন।
ফাতাহ ও বৃহত্তর ফিলিস্তিনি সমাজে বারঘুতির রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তি তৈরি হয় তিন বছর পর, যখন তিনি ১৯৮৭ সালের প্রথম ইন্তিফাদায় (ফিলিস্তিনি গণআন্দোলন/গণআন্দোলন) নেতৃত্ব দিয়ে পরিচিতি পান।
যদিও পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরাইলি দখলের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন আরও পাঁচ বছর ধরে চলেছিল, বারঘুতির ভূমিকা ১৯৮৭ সালেই শেষ হয়, যখন তাকে জর্ডানে নির্বাসিত করা হয়।
তিনি সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে, অসলো চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনে ফেরার অনুমতি পান। দুই বছর পর, তিনি নবগঠিত ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
ফাতাহর সশস্ত্র শাখা তানজিমের নেতা হিসেবে বারঘুতি দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় (২০০০ সালের সেপ্টেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই আন্দোলন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলন ভেঙে যাওয়ার পর।
বারঘুতির ইসরাইলের কাছে ‘ওয়ান্টেড’ হয়ে উঠা
২০০২ সালের জানুয়ারিতে তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ একটি মতামত নিবন্ধ লিখে ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে তার শক্ত অবস্থান জানান দেন। মাত্র তিন মাস পরে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৪ সালের মে মাসে তাকে পাঁচটি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পাঁচটিতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন মারওয়ান বারঘুতি।
ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা
বারঘুতি নাকি ইতিহাস ও জীবনী পড়তে ভালোবাসেন, যার মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ লেখক অ্যান্থনি স্যাম্পসনের লেখা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনী। ২০১৩ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার রবন আইল্যান্ডে ম্যান্ডেলার পুরনো সেল থেকে তার মুক্তির দাবিতে একটি প্রচারণা শুরু হয়, যাতে আটজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সমর্থন দেন।
২০০৯ সালে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে লিখেছিল, ‘ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি মিলছে যে বারঘুতির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও সংস্কারপন্থী মনোভাব শান্তির জন্য সেরা সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, ২০১৭ সালে বারঘুতির নির্দেশে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির অনশন ধর্মঘটের পেছনেও এই বার্তা লুকিয়ে ছিল।
কারাগারে থাকাকালীন বারঘুতি ২৫৫ পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছিলেন, যা গোপনে বাইরে পাঠানো হয় তার আইনজীবী ও পরিবারের মাধ্যমে। বইটিতে তিনি কারাগারের অভিজ্ঞতা বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বারঘুতি এতটাই প্রভাবশালী যে তাকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হয়।
৮৮ বছর বয়সী আব্বাস বর্তমানে ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় এবং কোনো রাজনৈতিক সমঝোতায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে থাকবেন—এমন সম্ভাবনা কম।
ফিলিস্তিনি নীতি ও জরিপ গবেষণা কেন্দ্র ২০২৩ সালে একটি জরিপ পরিচালনা করে। পশ্চিম তীর ও গাজার ১ হাজার ২০০ জনের মধ্যে পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আব্বাসকে সহজেই হারাবেন বারঘুতি।
বারঘুতি প্রায় অর্ধেক ভোট পান, এরপর ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। চলতি বছরের ৩১ জুলাই ইরানে পরিচালিত হামলায় নিহত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের এই শীর্ষ নেতা।
ওই জরিপে আব্বাসের উত্তরসূরি হিসেবে কাকে চান— এ প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ বারঘুতির নাম বলেছেন।
মারওয়ান বারঘুতি, বর্তমানে কারাবন্দি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সিনিয়র ফিলিস্তিনি নেতা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সমর্থকদের কাছে তিনি ‘ফিলিস্তিনি নেলসন ম্যান্ডেলা’ হিসেবে পরিচিত।
শুক্রবার, বহু বছর পর প্রথমবারের মতো তার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির তার সেলে ঢুকে তাকে হত্যার হুমকি দেন।
তারিখবিহীন ভিডিওটিতে দেখা যায়, অতিডানপন্থী এই মন্ত্রী ইসরাইলি কারাগারের একান্ত বন্দিশালায় ঢুকে দৃশ্যত দুর্বল বারঘুতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বারঘুতি সাদা টি-শার্ট পরিহিত।
প্রহরী ও ক্যামেরায় ঘেরা অবস্থায় মন্ত্রী বলেন, তোমরা আমাদের হারাতে পারবে না। যারা ইসরাইলের জনগণকে টার্গেট করে এবং আমাদের সন্তান ও নারীদের হত্যা করে, তাদের মুছে ফেলা হবে। এটা তোমাকে জানতে হবে।
বারঘুতি ১৯৫৯ সালের ৬ জুন রামাল্লার কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেই বছরই জন্ম নেয় ফিলিস্তিনি জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ফাতাহ, যাতে বারঘুতি ১৯৭৪ সালে যোগ দেন।
১৯৭৮ সালে প্রথমবারের মতো তিনি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন—একটি সশস্ত্র সংগঠনের সদস্য হওয়ার দায়ে চার বছর কারাভোগ করেন তিনি। কারাগারে বারঘুতি ইংরেজি ও হিব্রু শেখেন, পড়াশোনা শেষ করেন এবং ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানেই তিনি আইনজীবী ফাদওয়া ইব্রাহিমের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন।
ফাতাহ ও বৃহত্তর ফিলিস্তিনি সমাজে বারঘুতির রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তি তৈরি হয় তিন বছর পর, যখন তিনি ১৯৮৭ সালের প্রথম ইন্তিফাদায় (ফিলিস্তিনি গণআন্দোলন/গণআন্দোলন) নেতৃত্ব দিয়ে পরিচিতি পান।
যদিও পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরাইলি দখলের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন আরও পাঁচ বছর ধরে চলেছিল, বারঘুতির ভূমিকা ১৯৮৭ সালেই শেষ হয়, যখন তাকে জর্ডানে নির্বাসিত করা হয়।
তিনি সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে, অসলো চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনে ফেরার অনুমতি পান। দুই বছর পর, তিনি নবগঠিত ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
ফাতাহর সশস্ত্র শাখা তানজিমের নেতা হিসেবে বারঘুতি দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় (২০০০ সালের সেপ্টেম্বর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই আন্দোলন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলন ভেঙে যাওয়ার পর।
বারঘুতির ইসরাইলের কাছে ‘ওয়ান্টেড’ হয়ে উঠা
২০০২ সালের জানুয়ারিতে তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ একটি মতামত নিবন্ধ লিখে ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে তার শক্ত অবস্থান জানান দেন। মাত্র তিন মাস পরে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৪ সালের মে মাসে তাকে পাঁচটি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পাঁচটিতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন মারওয়ান বারঘুতি।
ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা
বারঘুতি নাকি ইতিহাস ও জীবনী পড়তে ভালোবাসেন, যার মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ লেখক অ্যান্থনি স্যাম্পসনের লেখা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনী। ২০১৩ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার রবন আইল্যান্ডে ম্যান্ডেলার পুরনো সেল থেকে তার মুক্তির দাবিতে একটি প্রচারণা শুরু হয়, যাতে আটজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সমর্থন দেন।
২০০৯ সালে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে লিখেছিল, ‘ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি মিলছে যে বারঘুতির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও সংস্কারপন্থী মনোভাব শান্তির জন্য সেরা সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, ২০১৭ সালে বারঘুতির নির্দেশে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির অনশন ধর্মঘটের পেছনেও এই বার্তা লুকিয়ে ছিল।
কারাগারে থাকাকালীন বারঘুতি ২৫৫ পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছিলেন, যা গোপনে বাইরে পাঠানো হয় তার আইনজীবী ও পরিবারের মাধ্যমে। বইটিতে তিনি কারাগারের অভিজ্ঞতা বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বারঘুতি এতটাই প্রভাবশালী যে তাকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হয়।
৮৮ বছর বয়সী আব্বাস বর্তমানে ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় এবং কোনো রাজনৈতিক সমঝোতায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে থাকবেন—এমন সম্ভাবনা কম।
ফিলিস্তিনি নীতি ও জরিপ গবেষণা কেন্দ্র ২০২৩ সালে একটি জরিপ পরিচালনা করে। পশ্চিম তীর ও গাজার ১ হাজার ২০০ জনের মধ্যে পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আব্বাসকে সহজেই হারাবেন বারঘুতি।
বারঘুতি প্রায় অর্ধেক ভোট পান, এরপর ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। চলতি বছরের ৩১ জুলাই ইরানে পরিচালিত হামলায় নিহত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও হামাসের এই শীর্ষ নেতা।
ওই জরিপে আব্বাসের উত্তরসূরি হিসেবে কাকে চান— এ প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ বারঘুতির নাম বলেছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শিল্পনগরী এলাকা কানপুর। গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সৈয়দ নগরে ঈদে মিলাদুন্নবি উদ্যাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
২৯ মিনিট আগেসম্প্রতি বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে পেট্রোলচালিত মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভিয়েতনাম প্রশাসন। যা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, পরিকল্পিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারাবে বলে আশঙ্কা করছে জাপান সরকার এবং দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা।
৪১ মিনিট আগেগাজায় সাফল্য অর্জনের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়েছিল ট্রাম্পের প্রধান কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও তার দল, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তৈরি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এই যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাশিয়ান রাসায়নিক কারখানায় যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে