হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মনোনয়ন পেলেও স্বস্তিতে নেই বিএনপির প্রার্থীরা

টাঙ্গাইলের ৮ আসন

মহব্বত হোসেন, টাঙ্গাইল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আসনগুলোয় বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেলেও স্বস্তিতে নেই প্রার্থীরা। নিজ দলের মনোনয়নবঞ্চিতরা প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছেন। মনোনয়ন পরিবর্তনের পাশাপাশি পুনরায় যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, শোডাউনসহ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটাচ্ছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকরা। এসব কর্মসূচিতে দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে এসব সংসদীয় এলাকা।

ইতোমধ্যে মধুপুরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের একদিকে গণসংযোগ চালাচ্ছে হচ্ছে। অন্যদিকে দলীয় প্রতিপক্ষকে সামাল দিতে হচ্ছে। এ কারণে মনোনয়ন পেয়েও স্বস্তিতে নেই এসব প্রার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রাথমিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। জেলার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে ঘোষণা করা হলেও সদর আসনের প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। একই সঙ্গে দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। মনোনয়ন বঞ্চিতরা কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর মনোনয়ন পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের অংশ নিতে শুরু করে। বর্তমানে তা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে দলের মনোনয়ন পান বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। পরে তিনি দলের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আলীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করে তার কর্মী-সমর্থকরা।

গত ১৯ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে স্বপন ফকিরের সমর্থকরা মিছিল সমাবেশ করে দল থেকে মোহাম্মদ আলীকে বহিষ্কারের দাবি জানায়।

এদিকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুয়াপুর) আসনে। আসনটিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খালাসপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুর মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। দলের অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় এখানে স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাসিরে নাম। তার নাম ঘোষণার পর থেকেই অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের সমর্থকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনি এলাকা।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে মনোনয়ন পান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান মতিন। এ আসনে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম মিয়াসহ বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম ৩১ দফার লিফলেট বিতরণসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মনোনয়ন দাবি করে আসছেন। ২০১৮ সালে তিনি মনোনয়ন পান। চূড়ান্ত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। এ আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগের মাধ্যমে নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালও গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন। দুপক্ষের সমর্থকরা একে অপরের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কুৎসা রটানোর কারণে পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, টাঙ্গাইল সদরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংমুক্ত করে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে মাঠে রয়েছেন ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান প্লেটো।

অন্যদিকে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রদল নেতা রবিউল আওয়াল লাভলু। এ আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও তাদের পক্ষে তেমন সভা-সমাবেশ চোখে পড়েনি।

রবিউল আওয়াল লাভলু বলেন, দুয়েকজন প্রার্থী বিভিন্ন গণমাধ্যমে মনগড়া মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমার ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে।

টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। এখানে অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি সহ-সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব। তিনি ৩১ দফার লিফলেট বিতরণসহ নানাভাবে মাঠে কাজ করছেন। গত শনিবার ঘোষিত মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিশাল শোডাউন করে তার কর্মী-সমর্থকরা।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) এদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান এক মুক্তিযোদ্ধাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সখিপুরে মানববন্ধন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে মুক্তিযোদ্ধারা সমাবেশ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একাত্মতা প্রকাশ করেন। যদিও আহমেদ আযম খান বিষয়টিকে নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন বলে জানান।

‘জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভাষার দুর্ভিক্ষের’ অভিযোগে এনসিপি নেতার পদত্যাগ

নোবিপ্রবিতে রিসার্চ প্রপোজাল রাইটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

লোকসানের শঙ্কা, আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

এমন ভাষা আ.লীগও ব্যবহার করতো, শাহাজাহান চৌধুরীকে বিএনপি প্রার্থী

আপনার পত্রিকা থাকবে কিন্তু আপনি থাকবেন না

মাটিকাটা বিরোধের জেরে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম

দেশে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেব না: মামুনুল হক

আমার দেশ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধার পাশে উপজেলা প্রশাসন

মাদক মামলায় মায়ের যাবজ্জীবন, দুই সন্তানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

মা–দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার, রহস্য উদঘাটনে স্বামী হেফাজতে