পঞ্চগড়ে শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন মাইমুনা (১৩), হিমু (৫), জাহানা (৫), আকলিমা (৪০), সোহেল (২০), নয়ন হোসেন (২৪), রফিজ উদ্দিন (৬০), শিল্পী (৪০), ওয়াসিমুল্লাহ (২৯), জাফর (২১) ও মনিরা আক্তার (২৫)। এরা সবাই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আহত ব্যক্তিদের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বসতি এলাকায় গড়ে উঠা চা বাগানগুলোতে অবস্থান করছে শিয়ালের দল। সন্ধ্যা নামতেই খাবারের সন্ধানে বের হয় তারা। বের হয়ে হাঁটে রাস্তায়, ঢুকে পড়ে বসতি এলাকায়।
কায়েতপাড়া এলাকার মনির হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশে চা বাগান। সন্ধ্যা হলেই বাগানে ভিতর থেকে শিয়াল এসে বাড়ির আশপাশে ঘুরাঘুরি করে। কয়েক দিনে আমার বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ৪টি মুরগি নিয়ে গেছে। শিয়ালের ভয়ে দিনের বেলায় শিশুদের কঠোর নিরাপত্তায় রাখতে হচ্ছে।’
গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে কেউ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, কেউ বাড়ির বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, আবার কেউ বাইরে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় হঠাৎ শিয়াল এসে কয়েকজনকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
চা বাগান এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, চা বাগানগুলোর পাশে ছাগল হাঁস মুরগি কবুতর পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। শিয়াল এসব শিকার করার জন্য ওঁত পেতে থাকছে। মানুষকেও আক্রমণ করছে।
শিয়ালের কামড়ে আহত রফিজ উদ্দিনের স্ত্রী বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার পর আমার স্বামী জেলা শহরের বানিয়াপট্টি এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড় দিয়ে বুকে কামড় দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরেছি।’
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল কাদের বলেন, গতকাল রাত ৮টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে শিয়ালের কামড়ে আহত হয়ে ১১ রোগী হাসপাতালে আসেন। তারা সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।