চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার উত্তর নলুয়া গ্রামে রাতের আধারে জমিতে চাষ করা প্রায় তিন শতাধিক কুমড়ার গাছ বিনষ্ট করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার রাতে প্রায় ৩৬ শতাংশ জমিতে চাষ করা কুমড়ার গাছ বিনষ্ট হওয়ায় হতাশায় পড়েছেন কৃষক মোজাম্মেল প্রধান। এই নিয়ে তার ছেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার দাবি, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই বাড়ির মৃত জমির হোসেন প্রধানের ছেলে বিপুল প্রধান এই কাজ করেছে।
খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই আজ কৃষক মোজাম্মেল প্রধানের ক্ষতিগ্রস্ত কুমড়া ক্ষেতটি পরিদর্শন করেন।
কৃষক মোজাম্মেল প্রধান বলেন, ধারদেনা করে ২৫ হাজার টাকার বিনিময় এক বছরের চুক্তিতে একই এলাকার মৃত জুনাব আলী প্রধানের ছেলে সোলায়মান প্রধানের কাছ থেকে ৩৬ শতাংশ জমি লিজ নেন। ওই জমিতে কুমড়ার আবাদ করি। ইতিমধ্যে সকল গাছে ফুল এসেছে এবং কিছু কিছু গাছে ছোট ছোট কুমড়াও ধরেছে। আগামী জানুয়ারিতে এই ফসল বাজারে বিক্রি করতে পারতেন।এ অবস্থায় গত রাতে শিকড়সহ কুমড়া গাছগুলো উঠিয়ে বিনষ্ট করে ফেলে যায়।
কৃষক মোজাম্মেল আরো বলেন, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ করে জমিটি বর্গা নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে মিষ্টি কোমড়ার চাষাবাদ করি। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা কিভাবে পোষাবো এবং এনজিও থেকে ঋণ পরিশোধ করবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ সরকার বলেন, ফসলের সাথে শত্রুতা এটা খুবই দুঃখজনক। যারা এ জগন্য কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার চৈতন্য পাল বলেন, বিষয়টি খুবই নেক্কারজন। পারিবারিক এবং জমি জমা নিয়ে বিরোধের কারনে ফসল বিনষ্ট করা অপরাধ। কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ২০১৮-এর অধীনে শাস্তিযোগ্য, যেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে ফসল নষ্ট করলে জেল ও জরিমানা হতে পারে।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।