হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মধুখালীতে দুই নদীভাঙনে ভিটামাটি ছাড়া পাঁচ শতাধিক পরিবার

মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় গড়াই ও মধুমতী নদীভাঙনে ভিটামাটি ছাড়া পাঁচ শতাধিক পরিবার। প্রতি বছরই এ দুই নদীভাঙনের মুখে পড়ে শত শত ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । এভাবেই গত কয়েক দশকে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়েছে।

উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের গড়াই নদীর তীরবর্তী নিশ্চিন্তপুর, ডুমাইন, জাননগর, তারাপুর গ্রাম, এসব এলাকায় কয়েকশ বছর ধরে শত শত পরিবার বসবাস করে আসছে। এসব পরিবারের অনেকেই গড়াই নদীর ভাঙনের মুখে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। কেউবা নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করেই বছরের পর বছর বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিয়ে বসবাস করছে।

অপরদিকে উপজেলার সর্ব দক্ষিণে মধুমতী নদীর তীরবর্তী কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর, চরপুকুরিয়া, গয়েশপুর, বকশিপুর, গন্ধ খালি, ফুলবাড়ি, দয়ারামপুর, কুসুমদি, চর কুসুমদি, শ্রীমন্ত কান্দি, আড়পাড়া এলাকার শত শত বাড়ি-ঘর মধুমতীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, বসতভিটা হারানো মানুষগুলো দিশাহারা হয়ে অনেকেই সরকারি-হালট রাস্তার পাশে কোনোরকম ঘর তুলে বাস করছেন। সামর্থ্যবানরা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় বসতবাড়ি তৈরি করছেন।

কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চৌধুরী রাকিব হোসেন ইরান বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে আমার ইউনিয়নের ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রায় ৪০০ পরিবার মধুমতীর ভাঙনে বসতবাড়ি হারিয়ে পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছে। নদীভাঙন রোধ হলে তারা আবার বাপ দাদার ভিটায় ফিরে আসতে চায়।

নওপাড়া ইউনিয়নের তারাপুর নওপাড়া, নতুনপাড়া, সীতারামপুর গ্রামে ৫০টির মতো ঘর-বাড়ি বিগত কয়েক বছরের মধ্যে মধুমতীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তারাপুর গ্রামের আইয়ুব মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন, এই অঞ্চল বারবার মধুমতী নদীতে ভাঙে আর সাধারণ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। উপজেলার বাগাটি ইউনিয়নের চাঁদপুর, মিটাইন, রায়জাদাপুর গ্রামের ২০টির মতো পরিবার মধুমতী ভাঙনে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এসব পরিবার বাগাটিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও বীরের বসতবাড়ি যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিও প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় রাস্তাটি মেরামত করা হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান এখনো হয়নি।

নদীপাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা বছরের পর বছর টিকে আছেন। এদের মধ্যে অনেকেই ৮-১০ বার বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরে গিয়ে বানিয়েছেন। কবর থেকে শুরু করে অনেক কিছুই নদীগর্ভে চলে গেছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীপাড়ের মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য অনুরোধ জানান।

মধুমতী গড়াই নদীভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রাসেল বলেন, গড়াই মধুমতীর ভাঙনের কারণে আমাদের মধুখালী উপজেলার ৩০টির ওপরে গ্রাম প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে ভাঙনরোধে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করছি। সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল। তবে পাঁচ শতাধিকের বেশি পরিবার গড়াই মধুমতীর ভাঙনের কারণে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলা যায়।

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে অশোভন আচরণ, ডা. ধনদেবকে বহিষ্কারের নির্দেশ

লন্ডন-দিল্লি-পিন্ডিতে বসে রাজনীতি করা চলবে না: সাদিক কায়েম

একদিনে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১,৩৩৩

যৌথবাহিনীর হাতে আটক বহিষ্কৃত যুবদল নেতার কারাগারে মৃত্যু

স্বৈরাচার দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করে সবকিছু লুটেপুটে নিয়েছে: জাহিদুল ইসলাম

আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা রুখে দেওয়া হবে

শ্রীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

নওগাঁয় বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, উদ্যোগ নেই মশা নিধনের

শীতের আগমনে বোচাগঞ্জে খেজুর রস ও খাঁটি গুড়ের নানা উৎসব

আড়াই যুগ ধরে পরিত্যক্ত অর্ধশতাধিক ভবন, অপসারণে নেই উদ্যোগ