বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধামুরা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের দাতা সদস্য পদে জমিদান না করেও দাতা সদস্য হয়ে বিতর্ক ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটিতে।
এ সম্মানজনক পদটি অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী আসাদুল হক মামুন এর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ক কলেজ অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এটা সামান্য ব্যাপার।’
স্থানীয় কাজী আব্দুল জলিল এ বিষয় লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানান, বর্তমানে দাতা সদস্য আসাদুল হক মামুনের পিতা মরহুম বজলুল হক মিয়া বাংলা ১৩৯৪ (১৯৮৭ ইং) সালে ধামুরা মৌজার এসএ ৫৫৯ নম্বর খতিয়ানের ৩৯৩৭ ও ৩৯৫১ নম্বর দাগের ২৬ শতাংশ জমি দশ হাজার টাকা মূল্যে সাফ-কবলা দলিলের মাধ্যমে বিক্রয় করেন, ওয়ারিশের নগদ টাকা বুঝে নিলেও আজ পর্যন্ত বিক্রয় কৃত জমিটি রেজিস্ট্রেশন করে না দেয়ায় অভিযোগ রয়েছে মামুন পরিবারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অভিযোগকারী কাজী আব্দুল জলিল বলেন, আসাদুল হক মামুন ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে গভর্নিং বোর্ডের দাতা সদস্য মনোনীত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক দপ্তরে দাতা সদস্য পদ বাতিলের দাবিতে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত দাতা সদস্য তার বাবা। একই ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের কাছে ইতোমধ্যে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি। তার নাম আবুল হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির জানান, কলেজটিতে স্থানীয় দুটি প্রভাবশালী বংশের প্রভাব বিস্তার নিয়ে এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে আসাদুল হক মামুন জানান, ‘কলেজে আমার বাবা দলিলের মাধ্যমে জমি দিয়েছেন।’
দলিল ছাড়াও আমাদের পরিবারের প্রায় এক একরের অধিক জমি কলেজের দখলে রয়েছে। আমার বাবার দেয়া দলিলে ভুল ত্রুটি থাকলে আমরা সংশোধন করে দিবো এবং কলেজের স্বার্থে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরো জমি দেব।