হোম > সারা দেশ > সিলেট

ইলিয়াসকে খুঁজে বেড়ানো বুধুর স্বপ্ন মাথা গোঁজার ঠাঁই

উপজেলা প্রতিনিধি, ওসমানীনগর (সিলেট)

সিলেটের নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর একনিষ্ঠ অনুসারী লুৎফুর রহমান বুধু -নামটি আজও ওসমানীনগর ও আশপাশের এলাকায় ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রতীক হয়ে বেঁচে আছে।

দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এই মানুষটির জীবনের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল তার প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর সঙ্গে থাকা, তার পাশে থেকে দলের জন্য কিছু করা।

দয়ামীর ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের মোশাররফ হোসেনের সহজ সরল পুত্র বুধু রাজনৈতিক তত্ত্ব কিংবা ক্ষমতার খেলা বোঝেন না। কিন্তু ইলিয়াস আলীর প্রতি তার মায়া ছিল নিখাদ ও নিঃস্বার্থ। দলের কোনো সভা-সমাবেশের খবর পেলেই নিজ পকেটে টাকা না থাকলেও হেঁটে কিংবা কারো মোটরসাইকেলে চড়ে ছুটে যেতেন সেখানে। সভায় বসার সুযোগ না পেলে দাঁড়িয়ে থাকতেন এক কোণে, শুধু নেতাকে এক নজর দেখার আশায়।

ইলিয়াস আলীও লক্ষ্য করেছিলেন এই সরল মানুষটিকে। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক মানবিক সম্পর্ক—নেতা ও অনুসারীর। বুধুর আন্তরিকতা ও মাঠপর্যায়ের সরল পর্যবেক্ষণকে কাজে লাগিয়ে ইলিয়াস আলী তাকে দলীয় কার্যক্রমে ‘বিশ্বস্ত সোর্স’ হিসেবে ব্যবহার করতেন।

তৃণমূলের মানুষের মতামত জানতে, এলাকার রাজনৈতিক গতিবিধি বুঝতে বুধু ছিলেন তার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইলিয়াস আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও বুধু ছিলেন তার নিকটতম পরামর্শদাতাদের একজন। দলের মাঠপর্যায়ের খোঁজখবর নিয়মিতভাবে ইলিয়াস আলীকে জানাতেন তিনি। ইলিয়াস আলীর নিজ হাতে কেনা একটি মোবাইল ফোনও ছিল বুধুর কাছে—যার মাধ্যমে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই যোগাযোগ হতো।

ঢাকায় অবস্থানরত ইলিয়াস আলী যখনই সিলেটে আসতেন, সেই খবর সবার আগে পেতেন বুধু। এমনকি অনেক সময় দলের অন্যান্য নেতারাও ইলিয়াসের আগমন বা প্রস্থানের খবর জানতেন বুধুর কাছ থেকেই।

বুধুর দাবি, ইলিয়াস আলী যদি আবারো ফিরে আসেন, তাহলে বর্তমান যারা নেতৃত্বের কেন্দ্রে অবস্থান করছেন—তাদের দ্রুত প্রস্থান ঘটবে এবং অভিমানে তাদেরকে সেই পুরনো, আসনেই বসিয়ে দেয়ার রিপোর্ট দিব।

কিন্তু সেই প্রিয় নেতা এখন নেই—দীর্ঘ বছর ধরে নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর খোঁজে আজো পথে পথে ছুটে বেড়ান বুধু। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স বাড়লেও মুছে যায়নি তার আশা। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন একদিন ইলিয়াস আলী ফিরবেন।

এই সরল, অকৃত্রিম ভালোবাসায় ভরা মানুষটির একটাই ছোট্ট আবদার— নিজের মাথা গোঁজার একটি ঘর। সমাজের বিত্তবান, রাজনৈতিক সহকর্মী কিংবা প্রশাসনের সহানুভূতি প্রত্যাশা করছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, বুধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ইলিয়াসের ভালোবাসা ও আনুগত্যের এক জীবন্ত প্রতীক। তার জন্য একটি ছোট্ট ঘর করে দেওয়া মানে একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষের স্বপ্ন পূরণ করা।

ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার বহু বছর পরও তার অনুসারীদের মনে যেমন ক্ষোভ, তেমনি এক অদম্য ভালোবাসা রয়ে গেছে। আর সেই ভালোবাসার সবচেয়ে মর্মস্পর্শী প্রতীক হয়ে বেঁচে আছেন ঘোষগাঁওয়ের সেই মানুষ— লুৎফুর রহমান বুধু।

চলমান রাজনীতির উত্তাপে হয়তো তার কণ্ঠস্বর চাপা পড়ে যায়, কিন্তু তাঁর চোখে আজও ভাসে একটিই আশা— ‘ইলিয়াস ফিরুক আর আমি যেন পাই নিজের মাথা গোঁজার এতটুকু আশ্রয়।’

বাবলা হত্যার দায় স্বীকার করে যা বললেন সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

‘খালেদা জিয়া সামনে থাকলেও বাবলাকে মারতাম’ অডিওতে বড় সাজ্জাদ

‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’ দাবিকে পূর্ণ সমর্থন করি: বুলু

একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন জনগণ মানবেন না: মঞ্জুরুল ইসলাম

গাজীপুরে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে সাংগঠনিক গতিশীলতায় ঐক্যের অঙ্গীকার

হাফ ভাড়া না নিয়ে বিরোধে বরিশালে অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর

চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনিকে গণসংবর্ধনা

জামালগঞ্জে ৯৫০ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার ২ ‎

আগামী নির্বাচন চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে: ডা. তাহের