আমার দেশ অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর কুমিল্লা তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার স্ত্রী শতবর্ষী সহিনা বিবির পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসন। আশ্রয় পেলেন বড় ছেলে রাজ মিয়ার ঘরে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বৃদ্ধা সহিনাকে দেখতে তার বাড়িতে যান উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল। এ সময় সহিনাকে দেখবালসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে ২৫ নভেম্বর সকালে আমার দেশ অনলাইনে ‘শতবর্ষী মা সহিনার খোঁজ নেন না তিন সন্তান’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পাশে দাড়ান ইউএনও।
জানা গেছে, বৃদ্ধা সহিনা বিবির তিন ছেলে সন্তান। পরম আদর-যত্নে বড় করেছেন তাদের। কেউ থাকেন ঢাকা, কেউ করেন ব্যবসা, কেউ আবার বাড়িতে করেন কৃষি কাজ। শেষ বয়সে সেই তিন সন্তানের কাছে চেয়েছিলেন একটু আশ্রয়। দুবেলা খাবার। কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার পর শতবর্ষী বৃদ্ধা মা এখন তাদের বোঝা। তিন ছেলের কেউ এখন খোঁজ নেন না।
সহিনার বড় ছেলে রাজা মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘যতদিন আমার শাশুড়ী বাঁচবেন, তিনি আমার কাছেই থাকবেন। তবে আমরাও গরিব, সরকারি সহযোগিতায় আমাদের চলতে ভালো হবে।’
বৃদ্ধার খোঁজ নেওয়ার পর তিতাস উপজেলা ইউএনও সুমাইয়া মমিন আমার দেশকে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। এরপর আমি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারকে বৃদ্ধার বাড়িতে পাঠাই। তাদের মাধ্যমে ছেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বৃদ্ধাকে পুনরায় তাদের ঘরে তুলে দেই।’
ইউএনও আরো বলেন, এছাড়া যে ছেলের ঘরে তাকে রাখা হয়েছে, তাকে টিসিবি কার্ডের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওনার ভাতার টাকা আগে যে মোবাইল নম্বরে যেত, সেটিও পরিবর্তন করে তার বিশ্বস্ত ব্যক্তির নম্বর যুক্ত করা হয়েছে। বৃদ্ধার চিকিৎসা বা অন্য কোনো আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হলে সরকার, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন তার পাশে আছে।