ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, ভোটকেন্দ্র নিরাপদ রাখতে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যদি নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হয়, তাহলে দেশ ও ইনসাফকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। দেশকে ভালোবাসলে মানুষের কাছে এসে রাজনীতি করতে হবে। লন্ডন, দিল্লি কিংবা পিন্ডিতে বসে আর কোনো রাজনীতি করা চলবে না।
শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ মিনি স্টেডিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর ‘তারুণ্যের উৎসব’ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, আমাদের যে আশা ছিল, গত ৫৪ বছরে তা পূরণ হয়নি। গত ১৭ বছরে দেশে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ছিল, তাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তরুণরা যেদিকে যাবে, বাংলাদেশ সেদিকেই যাবে ইনশাল্লাহ।
ডাকসু ভিপি বলেন, ভোটে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা বিজয়ী হলে ঠাকুরগাঁওয়ের এয়ারপোর্ট চালু করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। এছাড়া এ অঞ্চলের কৃষক শ্রমিক মজুর যারা আছে, তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করবেন আমাদের প্রার্থীরা।
সীমান্ত হত্যা বিষয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে যে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে, প্রতিটি সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতের প্রেসক্রিপশন চলবে না। এ দেশে দিল্লির দালালদের স্থান হবে না।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম আরো বলেন, তরুণদের হাত ধরেই জুলাই বিপ্লবে বিজয় এসেছে। তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা যদি ইনসাফের পক্ষে থাকে তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি গণজোয়ার হবে। এ গণজোয়ারে ৫৪ বছরের বঞ্চনা সমূলে উৎপাটন হয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, জাতীয় গণশিল্পী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের প্রার্থী আবদুল হাকিম এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের প্রার্থী মিজানুর রহমান মাস্টারসহ দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।