হোম > সারা দেশ > বরিশাল

বরগুনায় ছড়িয়ে পড়েছে নিউমোনিয়া-ডায়রিয়া

এম হারুন-অর-রশিদ রিংকু, বরগুনা

বরগুনা হাসপাতালে ঠান্ডায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভিড়। ছবি: আমার দেশ

শীত আসতে না আসতেই বরগুনায় ছড়িয়ে পড়েছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগবালাই। ডায়রিয়া আর নিউমোনিয়ার প্রকোপে দিশাহারা হয়ে পড়েছে শিশুরা। হাসপাতালের ধারণক্ষমতার তিনগুণ রোগী আর ওষুধ সংকটে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ওষুধ সংকটের পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি।

সরেজমিনে বরগুনার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে। ৫০ শয্যার এই ওয়ার্ডে প্রতিদিনই ভর্তি থাকছে দেড় শতাধিক শিশু। বেশিরভাগই ঠান্ডা, জ্বর, কাশি নিয়ে ভর্তি হলেও পরে নিউমোনিয়া ধরা পড়ছে। পাশাপাশি ডায়রিয়াতেও আক্রান্ত হচ্ছে বহু শিশু।

হাসপাতালের হিসাব বলছে—শুধু নভেম্বর মাসে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে আট শতাধিক শিশু আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো চার শতাধিক।

অভিভাবকদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা মিললেও প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে হচ্ছে ফার্মেসি থেকে। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করাতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এতে বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা পাথরঘাটার পদ্মা গ্রামের গৃহিণী হাওয়া আক্তার বলেন, আমার একমাত্র সন্তান নিউমোনিয়ার কষ্টে সাতটি রাত গুনছি হাসপাতালে। চিকিৎসার নাম আছে, কিন্তু জরুরি ওষুধগুলো এখনো কিনতে হয় হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে। সেবাপ্রত্যাশী আব্দুল আলীম বলেন, ১৪ দিন হাসপাতালে থেকে দেখছি, দুই শতাধিক রোগীর ভিড়ে কি অপরিসীম অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একটি নেবুলাইজার মেশিনের মাধ্যমে শত শত রোগীকে সেবা দেওয়া হয় । সময়মতো সেবা মেলে না, ওষুধেরও সংকট আছে। শীতের শুরুতেই যদি এমন হয়, তাহলে বাকি দিনগুলো কেমন কাটবে ? এমন প্রশ্ন তার।

রহিমা বেগম বলেন, ঠান্ডা লাগার কারণেই নিউমোনিয়ার জন্ম। হাসপাতালে ছুটে এলে মেলে না শয্যা, ঠান্ডা ফ্লোরই আশ্রয় হয়ে ওঠে। বেড সংকটের কারণে সন্তানকে কোলে নিয়ে রাত কাটাই।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মেহেদী পারভেজ বলেছেন, ঠান্ডাজনিত সংক্রমণের কারণেই শিশুরা দ্রুত জটিল অবস্থায় পড়ছে। তাই শিশুদের নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রেজওয়ানুর আলম বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওষুধ ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণেই ওষুধের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।

৭১, আর ২৪ সালে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি: হাসনাত আব্দুল্লাহ

শেখ মুজিবের মূর্তি পাহারায় আনসার নিয়োগ

ফরিদপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল

করবাড়িতে ভিড় বাড়ছে পাখিপ্রেমীদের

দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও অস্ত্র

সীমান্তে ভারতীয় নারীর লাশ দেখতে পেলেন বাংলাদেশি স্বজনরা

৪২ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করছেন অজতি কৃষ্ণ

সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ আ. লীগ নেতার

ফেনীতে এনসিপির ৬৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি

এবার যদি ভুল করেন তাহলে আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে