শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে শিশু-কিশোরদের প্রিয় খাবার আইসক্রিমেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছিল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর নানা নিষিদ্ধ রাসায়নিক।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে এই ভয়াবহ খাদ্যভেজালের সত্য উন্মোচিত হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এম. রাফসান রাব্বি। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুব্রত ভট্টাচার্য্য, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এইচ.এম. আকতার এবং পুলিশের একটি টিম।
অভিযান চলাকালে পরাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পেছনে থাকা একটি গোপন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, ঘনচিনি, টেক্সটাইল ডাই, কৃত্রিম ফ্লেভারসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক। এগুলো নিয়মিত আইসক্রিম উৎপাদনে ব্যবহার করা হতো বলে স্বীকার করেন উপস্থিত কর্মচারীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব রাসায়নিক শরীরে ক্যানসার, লিভার ও কিডনি জটিলতা, চর্মরোগসহ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আইন লঙ্ঘনের অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী কারখানার ম্যানেজারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উদ্ধার করা সব রাসায়নিক ধ্বংস করা হয়।
ভেজালের প্রমাণ পাওয়ায় কারখানাটি সাময়িকভাবে সিলগালা করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলমান থাকবে।
স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক খাদ্যপণ্য বা উৎপাদন কারখানা সম্পর্কে তথ্য দিতে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এলাকায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যায়।