আগামী নির্বাচনে কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে দেয়া হবে না। কেউ যদি প্রভাব বিস্তারের চিন্তা করেন, তাহলে তার হাত অবশ করে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার দুপুরে ঝালকাঠির নেছারাবাদ মাদ্রাসা ময়দানে হিযবুল্লাহ জামিয়াতুল মুছলিহীন আয়োজিত জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। চরমোনাই পীর সৈয়দ মো. রেজাউল করিমসহ সম্মেলনে বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, আমাদের লড়াই সকল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস রচিত হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিগত দিনের মতো যদি কেউ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং বা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন, তবে তার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, সকল জুলুম, ফ্যাসিবাদ ও জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। কারো রক্তচক্ষু তোয়াক্কা না করেই ইসলামের পক্ষে সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলো এক হতে এবং আগামী নির্বাচনে সম্মিলিতভাবে ভোটের বাক্স পাততে পারলে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে। চাঁদাবাজদের স্থান বাংলাদেশে হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিদ আজাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আপ বাংলাদেশ-এর সভাপতি এবং রফিকুল ইসলাম জামালসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব। একই সঙ্গে তারা দাবি করেন, দেশ কোন পথে এগোবে, সেটি নির্ধারণ করবেন জনগণ এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তিগুলো।
হিযবুল্লাহ জামিয়াতুল মুছলিহীনের আমির মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে হিযবুল্লাহ জামিয়াতুল মুছলিহীনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে ভোটারদের কাছে তিনটি আরজ এবং সরকারের কাছে সাতটি প্রস্তাব পেশ করা হয়।
নেছারাবাদ দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিনিধি সম্মেলন।