পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জেলে আব্দুল মান্নান মাঝির জালে ধরা পড়েছে বিরল ও বিষাক্ত সামুদ্রিক মাছ ‘লায়নফিশ’। কেউ একে চেনে ‘বাঘা মাছ’, আবার কেউ বলে ‘রাওয়া মাছ’।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে মহিপুর মৎস্য বন্দরের মুন্নি ফিশ আড়তে মাছটি আনা হলে রঙিন দাগ, লম্বা কাঁটাযুক্ত পাখনা ও আকর্ষণীয় গঠনের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এসময় মাছটি দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লায়নফিশ মূলত ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও লোহিত সাগরের উষ্ণ পানিতে পাওয়া যায়। এ মাছ সাধারণত ছোট মাছ ও চিংড়ি খেয়ে বেঁচে থাকে। সামুদ্রিক পরিবেশে এটি একদিকে শিকারি, অন্যদিকে এর বিষাক্ততা একে করে তুলেছে গভীর সমুদ্রের ‘রঙিন আতঙ্ক’।
জেলে আব্দুল মান্নান মাঝি বলেন, গত পরশু কুয়াকাটা উপকূলের গভীর সাগরে জাল ফেললে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই অচেনা মাছটিও ধরা পড়ে। দেখতে সুন্দর হলেও শুনেছি এটি বিষাক্ত।
মুন্নি ফিশের ম্যানেজার হিরন বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম সাধারণ মাছ, পরে দেখি রঙ অদ্ভুত আর পাখনাগুলো কাঁটার মতো। তখনই বুঝতে পারি এটা বিরল প্রজাতির কিছু।
ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী মো. বখতিয়ার রহমান বলেন, লায়নফিশ দেখতে আকর্ষণীয় হলেও এটি অত্যন্ত বিষধর মাছ। এর পাখনার কাঁটার বিষে মানুষ দংশিত হলে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং কখনো শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই খালি হাতে এ মাছ ধরা বিপজ্জনক।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা আমার দেশকে বলেন, লায়নফিশের পাখনায় বিষ থাকে। কেউ যদি অসতর্কভাবে স্পর্শ করে, তাহলে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই মাছটি ধরতে হলে যথাযথ সতর্কতা নিতে হবে।