হোম > সারা দেশ > বরিশাল

আটদলীয় জোট একক প্রার্থী দিলে চাপে পড়বে বিএনপি

নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বরিশালের ছয়টি সংসদীয় আসনে বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন জোরেশোরে।

অধিকাংশ দল প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঠিক করলেও বিএনপির ভেতরে চলছে বড় ধরনের অস্থিরতা। অন্যদিকে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা আটদলীয় জোট বরিশালের অন্তত তিনটি আসনে শক্ত অবস্থান তৈরি করে বিএনপির ভোট ব্যাংকে ভাগ বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটাররা বলছেন, আটদলীয় জোট একক প্রার্থী দিলে চাপে পড়বে বিএনপি।

বরিশাল-১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী)

এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান এখনো নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে যাননি। প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তাদের কর্মী-সমর্থকরা নিয়মিত মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।

অপরদিকে জামায়াতের মাওলানা কামরুল ইসলাম খান ও ইসলামী আন্দোলনের রাসেল সর্দার মেহেদী প্রার্থী হয়েছেন। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ আটদলীয় জোট একক প্রার্থী দিলে এই আসন তাদের দখলে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন খোদ বিএনপির অনেক নেতাই।

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া)

এই আসনে বিএনপির ছয় প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে ব্যাপক তৎপরতা চালালেও প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু। তার মনোনয়নের পর অন্যরা সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে সান্টু আপাতত অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। সাবেক ছাত্রদল ও জাপা নেতা এবং সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি কানাডা থেকে দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বিষয়টি এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতি বজায় থাকলে অনেকটা বাধাহীনভাবেই রয়েছেন সান্টু। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী হতে মাস্টার মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হতে মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দীন। ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও শক্ত প্রার্থী না থাকায় এই আসনে তারা তেমন সুবিধা করতে পারবেন না বলে মনে করছেন ভোটাররা।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী)

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও মুলাদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সত্তার খান এবং নেতা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান আসাদের কর্মী-সমর্থকরা এখনো মাঠে রয়েছেন। আগে অবশ্য গুঞ্জন ছিল, এ আসনটি এবি পার্টির ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এদিকে এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দীন মুহাম্মদ বাবর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা জোরেশোরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ)

এ আসনে বিএনপির টিকিট পেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। তবে সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সমর্থকরা এতে অখুশি। বিষয়টি নিয়ে বেশ চাপের মুখেই আছেন রাজিব আহসান। অপরদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল জব্বার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছাহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। এ আসনে এনসিপির বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাইদ মুসা প্রার্থী হবেন বলে শোনা গেলেও এখনো দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। সব মিলিয়ে এ আসনে আটদলীয় জোটগত প্রার্থী অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

বরিশাল-৫ (সদর)

জেলার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরওয়ার। কিন্তু কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ ও বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাছরিন এখন আলাদা আলাদা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সরওয়ারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট অব্যাহত থাকলে এ আসন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির অনেক দায়িত্বশীল নেতা। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারি জেনারেল মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্ত্তী এ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ)

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে এনসিপি কিংবা এবি পার্টিসহ অন্য কোনো দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও আটদলীয় জোট হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম জোটগত মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এ আসনে বিএনপির সঙ্গে ইসলামি সমমনা আটদলীয় জোট প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস মিলছে।

উজিরপুরে বেগম রোকেয়া দিবস ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বহিষ্কার ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী

পটুয়াখালীতে ইসলামী আন্দোলন ছেড়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন মুফতি হাবিব!

আদালত প্রাঙ্গণে এডিশনাল পিপির ওপর ছাত্রদল-যুবদলের হামলা

জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে জখম বিএনপি নেতার

বিএনপি নব্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মতো হচ্ছে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

তিনটিতেই চাঙা বিএনপি নেতাকর্মী, ব্যাপক তৎপরতা জামায়াতের

চরফ্যাশনে প্রধান শিক্ষকের রমরমা নিয়োগ-বাণিজ্য

কুয়াকাটায় কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নড়বড়ে কাঠের সেতু ভরসা, ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত