বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে নোয়াখালী জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। জেলা শহর থেকে প্রান্তিক এলাকায় সর্বত্র সাজ সাজ বিরাজ করেছে। নেতাকর্মীগন আনন্দিত উচ্ছ্বাসিত।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে পুরো জেলা জুড়ে পোস্টার ফেস্টুন ব্যানার বিলবোর্ডে চেয়ে গেছে। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনী থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকগণ মিছিল সমাবেশে মুখরিত করে রাখছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান, নোয়াখালী-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান বলেন, তারেক রহমানকে বরন করতে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের বাহিরেও দেশের কোটি কোটি জনতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে আমরা দলীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের প্রস্তুতির বাহিরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ সাধারণ জনগণ ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে অবস্থান করতেছে। ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা দেশের জন্য এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহাবুব আলমগীর আলো বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের গ্রেটার নোয়াখালীর মেয়ে। সে নিরিখে গ্রেটার নোয়াখালী বিএনপির ঘাটি। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তারেক রহমানকে মিথ্যাও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে চরমভাবে হয়রানি করেছে। যার ফলে দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি দেশে আসতে পারেননি, নির্বাসিত ছিলেন। আজ তিনি মামলা থেকে মুক্ত হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার ঘোষিত স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে নোয়াখালী থেকে ঢাকাতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসমাগম ঘটবে এই অভ্যর্থনায়। নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে সবাই আগামীকাল সকাল থেকেই ঢাকায় রওনা হবে। ঢাকার ৩০০ ফিট এলাকায় আমরা নেতাকে বরণ করতে প্রস্তুত। নোয়াখালীর ৯টি উপজেলা থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থান করব। ইতিমধ্যে প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য অনেকে ঢাকা চলে গেছে।
নোয়াখালী জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব ও নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বরণ করতে দেশ প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। বর্তমানে আমাদের আবেগ অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু হলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা নোয়াখালীবাসী অত্যন্ত আনন্দিত ও উজ্জীবিত। তার আগমন নিঃসন্দেহে দলের জন্য দেশের জন্য ও রাজনীতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। নেতার আগমনে দলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উজ্জীবিত। এর ফলে নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে প্রাণ ভরে কাজ করতে পারবে। এতে করে দলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে, ফলে নতুন আঙ্গিকে কাজ করার উদ্দীপনা পাবে। আমাদের দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। জেলা সদর সুবর্ণচর ও আশপাশের উপজেলা থেকে বরন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ইতিমধ্যে ৫০ হাজার লোক ঢাকায় গিয়ে অবস্থান করতেছে।
নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবে সহ-সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আজিম সুমন বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে নোয়াখালী জেলা যুবদলের মাঝে ব্যাপক উৎসব উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকগণ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।