২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাত থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। রোববার সকালে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সূর্যমুখী ঘাটে দেখা গেছে, ব্যাপারীরা মাছ বেচাকেনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন। শ্রমিকরা টুকরি ভর্তি মাছ মাথায় বহন করে নিয়ে আসছেন বাজারে। ব্যাপারীরা সেই মাছ ডাকে তুলে বিক্রি করছেন।
স্থানীয় আব্দুল কাদের নামে একটি জেলে নৌকার মাঝি বলেন, রাত ১২টার পর নদীতে গেছেন। সকালে ঘাটে ফিরে এসেছেন। তাতে তিন মণ ইলিশ পেয়েছেন। আকারে অনেকটা ছোট মাছের পেলেও মূল্য ভালো থাকায় ভালো লাভ হয়েছে।
সূর্যমুখী ঘাটর মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন জানান, খুব ভোর থেকে এই বাজারে মাছ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। জেলেরা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নদী থেকে ভালো মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। তাদের জালে ভালো মাছ ধরা পড়েছে।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় নিয়ে অভিযোগ ছিল জেলেদের। ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে নিষেধাজ্ঞা ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করার দাবি ছিল তাদের। নিষেধাজ্ঞার আগে ভালো ইলিশ পাওয়ায় এমন দাবি তুলেছিলেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার ওই সময় ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন ঠেকাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করেছিলেন তারা।
সবশেষে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ৪ অক্টোবর বিকেলেই ঘাটে ফিরে আসে নোয়াখালী জেলেরা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাতে জেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ ধরতে সাগরে যায় জেলেরা। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় জেলেদের মধ্যে যে হতাশা ছিল প্রথম দিনে ভালে মাছ পাওয়ায় সেটি কিছুটা কেটে উঠেছে। এভাবে মাছ মিললে অতীতের ক্ষতিগ্রস্ত পুষিয়ে নিতে পারবে এমনটা আশা করছেন জেলেরা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান আমার দেশকে বলেন, ২২দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলাতে অভিযান শেষে জেলেরা ইলিশ শিকারে গিয়ে অনেক মাছ পাচ্ছে। ইলিশের মৌসুমে এখনো শেষ হয়নি বাকি দিনগুলোতে জেলেরা আরো লাভ বান হবেন।