হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত নতুন ট্যারিফ এক মাসের জন্য স্থগিত

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন আরোফিত ট্যারিফ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে এই শুল্ক কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ মেরিটাইম ল’ সোসাইটির দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক, বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা এক রুলে এই আদেশ জারি করেন।

আদালত নৌপরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আদেশ বাস্তবায়ন এবং চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ মেরিটাইম ল’ সোসাইটির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা রোববার (৯ নভেম্বর) একটি রুল জারি করেছেন। এতে বিবাদীদের ( নৌ পরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান ও প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা) প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, কেন ১৪ সেপ্টেম্বরের আপত্তিকর এস.আর.ও. এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের সার্কুলারকে কোনও আইনগত কর্তৃত্ব ছাড়াই জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে কেন জারি ওই করা সার্কুলারের কোনও আইনি প্রভাব না থাকার পরও এমন সার্কুলার ঘোষণা করা হয়েছে। এই সার্কুলার ঘোষণা করা উচিত নয়।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ট্যারিফ বাতিল করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব , চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং প্রধান অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলো বিএমএলএস।

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আব্দুল কাদিরের নেতৃত্বে বিএমএলএস শুল্ক বৃদ্ধিকে "অবৈধ, স্বেচ্ছাচারী এবং জনস্বার্থ-বিরোধী" বলে উল্লেখ করে। তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এটি স্থগিত করার আহ্বান জানান। কিন্তু বন্দরের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গেল সপ্তাহে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়।

জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ট্যারিফ কার্যকর করে। এতে বিদ্যমান চার্জ থেকে গড়ে ৪১ শতাংশ খরচ বৃদ্ধি করে বন্দর। কোনো কোনো খাতে এই খরচ চারশো শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। ট্যারিফ বৃদ্ধির পর ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো বন্দর অচল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিকরা বন্দরে পণ্য পরিবহনও বন্ধ করে দেয়।

এদিকে ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে চট্টগ্রাম বন্দর ট্যারিফ ইস্যুতে আজ সোমবার একটি স্টেক হোল্ডার সভার আয়োজন করেছে। এতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব) এম শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্ধিত ট্যারিফ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আমরা এই সিদ্ধান্তটি খুবই ইতিবাচক ভাবে দেখছি। কারণ বন্দর ট্যারিফ রিভিউ সংক্রান্ত বিষয়ে ১০ নভেম্বর নৌ পরিবহণ উপদেষ্টার সাথে বৈঠক দিয়েছে। বৈঠকের আগে আদালতের এমন রায় ট্যারিফ রিভিউ করার বিষয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের কোনো মতামত না নিয়ে এই ট্যারিফ কার্যকর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আমরা আশা করব নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় একটি যৌক্তিক ট্যারিফ নির্ধারণ করবে।

বিএনপি নেতা তোতা চেয়ারম্যানের খুনিদের নিয়ে ধানের শীষের প্রচারণা

খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই আসামির পলায়ন, একজন আটক

পটিয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর

দেবিদ্বারে জামায়াতের এমপি প্রার্থী জনসংযোগ

ফরিদগঞ্জ বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে দুদকের অভিযান

মতলবে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা-ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রায়হানকে ধরতে মরিয়া র‌্যাব, পাহাড়ে চলছে অভিযান

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ যানবাহন ভাঙচুর, আহত ২৫