হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি নেতা গুরুতর আহত

উপজেলা প্রতিনিধি, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুকুলকে শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবীনগর পৌরসভার সদরের পদ্মপাড়া তার নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। তার পায়ে ও কোমরে তিনটি গুলি করা হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে নবীনগর উপজেলার পূর্ব অঞ্চলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী নাজমুল হোসেন তাপসের নেতৃত্বে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বিষয়বস্তু তৃণমূলে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রচার প্রচারণা শেষ করে রাত আটটার দিকে নিজ বাসায় প্রবেশ করার সময় গেটের সামনে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মফিজুর রহমান মুকুল নবীনগর পদ্মপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে।

মফিজুর রহমান মুকুলের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গুলির তিনটি শব্দ শুনতে পেয়েছি। প্রথমে মনে করেছি ছেলেরা বাজি বা পটকা ফুটিয়েছে। কয়েক মিনিট পর মুকুলের স্ত্রীর চিৎকার শুনে গেটের সামনে গিয়ে দেখি আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে এই এলাকার কারও সাথে কোনো শত্রুতা নেই। আমার ভাই রাজনীতি করে ছাত্রজীবন থেকে, রাজনীতি করতে গিয়েও আমার জানামতে কারও সাথে কোনো বিরোধ নেই। কারা এবং কী কারণে আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করতে চাইলো সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না।

উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমদাদুল বারী বলেন, শুক্রবার পূর্ব অঞ্চলের বিটঘর ও কাইতলা ইউনিয়নে আমাদের সাথে দিনভর দলীয় কর্মসূচি পালন করে রাতে নিজ বাসায় প্রবেশ করার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে পিছন দিক দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।

অন্য একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে নবীনগর পদ্মপাড়া থেকে তিন মাদক বিক্রেতাকে ৪২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার সাথে এই গুলির কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা উচিত। এই গুলির ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে গুলিবর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত ৯টার দিকে নবীনগর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করছে উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, অ্যাডভোকেট এমএ মান্নান, তকদির হোসেন জসিম, কেএম মামুনুর রশীদসহ বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতারা এবং নবীনগর প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, গুলির ঘটনা জানার পরপরই আমি ও সার্কেল স্যার ঘটনাস্থলে চলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য বের করতে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে।

বাঁশখালীর ৩১ জেলে হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি আশিকের

১৭ দিন পর এবার রাউজানে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবদলকর্মী নিহত

ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ চাইলেন ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

পানছড়িতে টাকা হলে মিলে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা

সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত

সীমান্তে ভারতীয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মালামাল জব্দ

মতলবে চার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলেন মা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুর লাশ উদ্ধার, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

সহস্রাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বিএনপিতে যোগদান