হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

মাটি ছাড়াই চারা উৎপাদনে সাফল্য কুমিল্লার রাব্বির

এম হাসান, কুমিল্লা

ইউটিউব দেখে মাটি ছাড়াই প্লাস্টিকের ট্রেতে কোকোপিটের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে নজর কেড়েছেন কুমিল্লার তরুণ উদ্যোক্তা হোসাইন রাব্বি। জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সমেষপুর গ্রামের বাসিন্দা রাব্বি । তার এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার বাবা আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ তিন দশক ধরে চারা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী রাব্বি দীর্ঘদিন তার বাবাকে চারা উৎপাদনে সাহায্য করে আসছে। এ বছর আধুনিক পদ্ধতির কোকোপিট ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদন শুরু করেছেন তিনি।

রাব্বি জানান, এ বছর পাঁচটি শেডে প্রায় এক লাখ চারা উৎপাদন করেছেন, যা বিক্রি করে প্রায় তিন লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। চারা প্রতি গড়ে দুই থেকে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোকোপিট ব্যবহারে চারার ক্ষতি অনেক কম। মাটির চারা উঠাতে গেলে শিকড় ছিঁড়ে যায়, কিন্তু কোকোপিট থেকে চারা উত্তোলনের সময় শিকড় অক্ষত থাকে। ফলে শতভাগ টিকে থাকে চারা। কোকোপিট নারিকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি হয়। এটি পানি ধারণে সক্ষম এবং এতে বাতাস চলাচল করায় চারার শিকড় সুস্থ থাকে। বিশেষ করে বেশি তাপমাত্রার এলাকায় এই চারার ফলন ভালো হয়।

তিনি বলেন, মাটিতে বীজ দেওয়া চারাগুলো যখন আমরা উঠাই তখন শিকড়গুলো ছিঁড়ে যায় । শতভাগ টেকসই হয় না। এগুলো পিঠে বার্মি কম্পোস্ট নারিকেলের ছোবড়া । এগুলো কিনে আনি অথবা নিজেরাই তৈরি করি।

রাব্বি জানান, এই চারাগুলো শতভাগ শিকড়যুক্ত থাকে। জমিতে লাগানোর পর দ্রুত ফলন দেয়। এই বছরই প্রথম উৎপাদন শুরু করলাম, কিন্তু চাহিদা দেখে আগামী বছর আরো বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা আছে। স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতোমধ্যে তার চারার চাহিদা বেড়েছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে বিক্রয় কিছুটা কম হলেও আগ্রহে ভাটা পড়েনি বলে জানান রাব্বি।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিনা আক্তার বলেন, কোকোপিট পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন সহজ এবং দ্রুত ফলন দেয়। রোগবালাই কম হয়, ফলে কৃষকরা এখন এই পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে। রাব্বির এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়, আমরা তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সমেষপুরসহ জেলায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে ৭০০-এর বেশি কৃষক চারা উৎপাদন করছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় ২০ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোকোপিট পদ্ধতি এখন কুমিল্লার কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

হোসাইন রাব্বির এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ স্থানীয় কৃষি খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কম খরচে বেশি উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কোকোপিট পদ্ধতি আগামী দিনে চারা উৎপাদনের একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

উনার নাম তো থাকবেই: কুমিল্লা টিটিসির উপাধ্যক্ষ

তিতাসে অস্ত্র ও গুলিসহ ৪ নারী গ্রেপ্তার

চৌদ্দগ্রামে মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ গ্রামবাসীর মানববন্ধন

ফরিদগঞ্জে কৃষকের বাড়ি থেকে ৫২ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ১

নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

এক ইলিশের দাম ৯ হাজার ২০০

দেশে সব রয়েছে—শুধু অভাব সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব

৩ হাজার টাকায় স্ত্রীকে দেয়া হয় বন্ধুদের কাছে, গ্রেপ্তার ৫

উখিয়ায় পৃথক অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

পাহাড়ে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর তাগিদ