ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ধারের ২০ টাকা চাইতে গিয়ে সহপাঠীর হাতে প্রাণ হারান উপজেলার চন্দাড়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার জামাত বিভাগের ছাত্র মো. আমির হামজা (১৩)। আমির হামজা উপজেলার শুকুরহাটা গ্রামের সায়েম উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে আমির হামজা নিখোঁজ ছিল। ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমির হামজার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরেই তদন্তে নামে পুলিশ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজম খানের নেতৃত্বে আলফাডাঙ্গা থানার একাধিক টিম দিনভর তদন্ত শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় ঘটনা উদঘাটন করে হত্যাকারী ফরহাদ রেজাকে (১৬) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ফরহাদ রেজা একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও চান্দাড়া গ্রামের জাহিদ ফকিরের ছেলে।
জনা যায়, আমির হামজার কাছ থেকে মাঝে মাঝে টাকা ধার নিয়ে আবার পরিশোধ করতো ফরহাদ রেজা। সম্প্রতি আমির হামজার কাছ থেকে ৫০ টাকা ধার নিয়ে ৩০ টাকা পরিশোধ করে সে। বাকি ২০ টাকা না দেয়ার আমির হামজা প্রতিদিন ফরাদের কাছে টাকা চায়। ১৯ অক্টোবর বিকালে টাকা বাড়িতে গিয়ে দেবে বলে ফরাদের বাড়ির দিকে নিয়ে যায় আমির হামজাকে। পথে তাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমির হামজাকে গলা টিপে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় চলে আসে ফরাদ। ২০ অক্টোবর ভোরে আমির হামজার লাশ বস্তায় ভরে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমির হামজার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা থানায় সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজম খান জানান, আমির হামজার বাবা থানায় জিডি করলে তাকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। এর মধ্যে আমির হামজার লাশ উদ্ধার হয়। এরপরেই আলফাডাঙ্গা থানার একাধিক টিম তদন্তে নামে। দিনভর তদন্ত শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় ঘটনা উদঘাটন করে হত্যাকারী ফরহাদ রেজাকে (১৬) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে একাই গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করে। এর সাথে আর কেউ জড়িত কিনা দেখা হচ্ছে।