আমার দেশ-এ খবর প্রকাশ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ৫ আগস্টের পর চুনকুটিয়া থেকে কদমতলী পর্যন্ত সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে অবৈধ দোকান বসিয়েছিল স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আবুলের বাড়ি থেকে সেমন্তী টাওয়ার পর্যন্ত ৯০ ফুট রাস্তার ৬০ ফুটই ছিল তাদের দখলে।
প্রতিদিন দোকানপ্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদাও আদায় করা হতো। খাতওয়ারি চাঁদা ছিল জমির ভাড়া ১০০, ঝাড়ুদার ২০, নাইটগার্ড ২০ এবং বিদ্যুৎ ৫০ থেকে ২০০ টাকা; ফুটপাতে নতুন দোকান বসানোর ক্ষেত্রে অফেরতযোগ্য অগ্রিম পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। কদমতলী গোলচত্বরে সন্ধ্যা হলেই বসত চোরাই মোবাইলের দোকান। ফুটপাতসহ তিন লাইনে দোকান বসানোর কারণে সারাদিন যানজট লেগে থাকত।
এ ব্যাপারে গত ৯ অক্টোবর আমার দেশ-এ ‛কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ও কদমতলী সড়কে দোকান বসিয়ে ছাত্রদল যুবদলের বেপরোয়া চাঁদাবাজি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর সড়ক থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে নামেন কেরানীগঞ্জ ইউএনও এবং প্রশাসক রিনাত ফৌজিয়া। তিনি দুদফায় কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া ও কদমতলী সড়কে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে অবৈধ পাঁচ শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা উচ্ছেদ অভিযান চলে। চুনকুটিয়া চৌরাস্তায় সবজি ও মাছের ১০, ফাস্টফুডের ২০, ফলের ২০ এবং ভ্যানগাড়িতে পরিচালিত বিভিন্ন আইটেমের শতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। কয়েকটি রেস্টুরেন্টের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফুটপাত পুনরুদ্ধার করা হয়। ২০ জনকে দোকানের বাড়তি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ইউএনও কদমতলী গোলচত্বরে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আরো তিন শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেন। এগুলোর মধ্যে ছিল ফাস্টফুড, চোরাই মোবাইল, জুতা ও গার্মেন্টস আইটেমসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান।
উচ্ছেদে সহযোগিতা করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।