মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার পাশাপাশি প্রায় দুই বছর যাবৎ বেতন ভাতাদি না পাওয়ায় এই দুটি স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তিসহ অন্যান্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের সময় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ পুনর্বাসন সাইটে ১.৫৬ একর জায়গায় আটটি কক্ষ ও যশলদিয়া পুনর্বাসন সাইটে ১.৮৩ একর জায়গায় আটটি কক্ষ নিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের অর্থায়নে অধিগ্রহণকৃত জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য ‘কুমারভোগ পদ্মা সেতু প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যশলদিয়া পদ্মা সেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হয়।
২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে দুটি বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে আটজন করে মোট ১৬ জন জনবল নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হলেও ২০১৭ সালে ১৬ এপ্রিল এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়। শুরু থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যালয় দুটি পরিচালিত হয় রিক নামের একটি এনজিওর মাধ্যমে। এরপর ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালে জুন মাস পর্যন্ত যৌথভাবে পরিচালনা করেন সমাহার ও এসএসইউএসজেবি নামক দুটি এনজিওর মাধ্যমে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন বলেন, এই দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা যেন দ্রুত রাজস্ব খাতের আওতায় আসে তার জন্য আমি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় দুটির সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে। শিক্ষার্থীরাও যাতে সব সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। তবে খুব তাড়াতাড়ি যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই দিকে আমার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।