বিশ্বের দ্বিতীয় এবং দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল) গ্যাস সংযোগের ২৯দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
গ্যাস সঙ্কটের অজুহাতে ২৩ মাস বন্ধ রাখার পর গত ২৪ নভেম্বর গ্যাস সংযোগ দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় ও কারখানা সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালের ১লা জুলাই যমুনা সারকারখানা বাণিজ্যিকভাবে দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করে। এ সারকারখানাটি ৩৭০ পিএসআই চাপে ৪৬ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন হয়। এটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্পসংস্থা (বিসিআইসি) অধীন দৈনিক ১ হাজার ৭০০’শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম। গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়ায় যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৩মাস পর ২৪ নভেম্বর গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করায় ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করে কারখানার কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন জানান, গত সোমবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি যমুনায় গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে দেয়ার পর অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, যমুনা সারকারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ উত্তরবঙ্গের ১৯ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করে থাকেন।