কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে ছয়জনকে পেটানোর ঘটনায় বিজিবির কড়া প্রতিবাদে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় এই বাহিনী।
শনিবার দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে এসব আশ্বাস দেয় তারা। এর আগে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বালারহাট কৃষ্ণনন্দবকশী সীমান্তের ৯৩০ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারি গ্রামের শামছুল আলম, কৃষ্ণনন্দীবকশী গ্রামের খোকা মামুদের ছেলে জাবেদ আলী, মোন্নাফ হোসেনের ছেলে কাশেম আলী, মুকুল ইসলামের ছেলে রিপন মিয়া, কাশেম আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম ও মুকুল মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৫ বিজিবি ব্যটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ শাকিল আলম। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কোচবিহার ১৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার অমিত কুমার সাহা।
বিজিবি কর্মকর্তা শাকিল বলেন, প্রায় এক ঘণ্টার পতাকা বৈঠকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। পরে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এমন হামলা আর ঘটবে না বলেও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে বারোমাসিয়া নদী পার হয়ে বাংলাদেশের বালাটারি সীমান্ত গ্রামে ঢুকে পড়ে ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের ৫ বিএসএফ। পরে বাংলাদেশিদের ওপর হামলা শুরু করে তারা। এতে ছয়জন আহত হন।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সীমান্তে জড়ো হয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এলাকাবাসী। ওপারেও ভারতীয় নাগরিকদের দেখা গেছে। তবে বাংলাদেশিদের সরিয়ে দেয় বিজিবি।