রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় গত ৯ আগস্ট শনিবার ভ্যান চোর সন্দেহে শ্বশুর রুপলাল ও জামাতা প্রদীপ দাস নিহতের ঘটনা ঘটে। নিজ মেয়ে নূপুর রাণী দাসের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার জন্য যাচ্ছিলেন ভাগ্নি জামাই প্রদীপ দাস ও বাবা রুপলাল দাস। পথের মধ্যেই গণপিটুনিতে ভ্যানচোর সন্দেহে শ্বশুর জামাতা নিহত হন।
সেই গণপিটুনিতে নিহত রুপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ রোববার। বাবার পছন্দের বরকে বিয়ে করে আনন্দিত নূপুর রাণী দাস। কিন্তু এই আনন্দঘন মুহূর্তে বাবা বেঁচে না থাকায় মনটাও ভীষণ খারাপ তার।
নূপুর রাণী দাস বলেন, বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতো। আমাকে এইচএসসি পাশ করিয়েছি তার উপার্জিত কষ্টের টাকা দিয়ে। আজ আমার বিয়ে। বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতো। আমার কপাল খারাপ বাবা নেই। যারা আমার বাবাকে মেরেছে তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।'
নিহত রুপলাল দাসের স্ত্রী মালতী রাণী দাস বলেন, আজ আমার মেয়ের বিয়ে। আমার স্বামী বেঁচে নেই। সে আজ বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতো। সে না থাকার কারণে এই আনন্দঘন দিনেও আমাদের পরিবারে শোকের ছায়া। যারা আমার নিরপরাধ স্বামীকে মেরেছে তার বিচার চাই আমি।