শ্রমিক অসন্তোষের জেরে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার থেকে আবার চালু হয়েছে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের চার ফ্যাক্টরি। এর ফলে ইপিজেড এলাকায় ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। কর্মমুখর হয়ে উঠেছে কারখানাগুলো। শ্রমিকদের মাঝে দেখা গেছে উচ্ছ্বাস আর আনন্দ। কাজে ফিরতে পেরে তারা বেজায় খুশি। অনেকের দাবি এভাবে যেন বন্ধ না থাকে কোনো কারখানা। গতকাল মঙ্গলবার হতে ইপিজেডে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শ্রমিকেরা যথাসময়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফ্যাক্টরিতে এসেছে এবং কাজে যোগ দিয়েছে।
জানা যায়, বেতনভাতা, বোনাসসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের নামে আন্দোলন করে শ্রমিকেরা। টানা দুদিনের চলমান আন্দোলনের মুখে গত ২৫ অক্টোবর শনিবার বিকালে চারটি ফ্যাক্টরি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে গেটে নোটিস জারি করে কর্তৃপক্ষ। ফলে ২৬ অক্টোবর রোববার হতে বন্ধ হয়ে যায় আওয়ামী সমর্থিত চারটি কারখানা। সাময়িক বন্ধ ফ্যাক্টরিগুলো হচ্ছে, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিল লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২৬ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আবার ফ্যাক্টরি চালুর দাবি জানায় শ্রমিকরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টরি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমাদের ফ্যাক্টরিতে সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
ইপিজেড সূত্র জানায়, এই চার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক রয়েছেন সাড়ে ছয় হাজার। উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (ইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ থাকা চার ফ্যাক্টরি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক রয়েছেন ৩৫ হাজার।