কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি ও জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। পাশাপাশি জনসচেনতামূলক সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর দপ্তরের বিজিবির ২২ ব্যাটালিয়ন মিডিয়া সেল থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় যে কুড়িগ্রাম বিজিবির ২২ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ ২৯৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ রোধকল্পে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া জনসচেতনতামূলক সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে এ বিষয়ে সচেতন করা হয় ।
সীমান্তে সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে বিজিবিকে সংবাদ প্রদান করে তথ্য দেয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি বিজিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সীমান্তের গ্রামগুলোতে স্থানীয় ভলেন্টিয়ারদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। সীমান্তবাসীরা বলছে প্রতিটি সীমান্ত গ্রামে বিজিপির টহল জোরদার করেছে।
উল্লেখ্য কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) এর অধীন ভাওয়ালকুড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত হতে গত ৭ মে ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ৬ ঘটিকায় প্রায় ৩ কি.মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুনহাট বাজার হতে ১৪ জন বাস্তুচ্যুত মায়ানমার (FDMN) নাগরিককে বিজিবি আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দালালের মাধ্যমে ভালো কাজের আশ্বাসের ভিত্তিতে আটক নাগরিকগণ কুড়িগ্রাম জেলায় আগমণ করে। তারা কক্সবাজার জেলায় উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রিত ছিল। এদের মধ্যে আটজন নারী এবং শিশু রয়েছে। এরা সবাই রোহিঙ্গা।
এমএস