হোম > সারা দেশ > রংপুর

করতোয়া নদীতে নুড়িপাথর কুড়িয়ে জীবন-জীবিকা হাজারো নারীর

হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়

শীত উপেক্ষা করে করতোয়া নদীতে নুড়িপাথর কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন পঞ্চগড়ের হাজারো নারী শ্রমিক। এখানে জীবিকা নির্বাহের অন্য কোনো উপায় না থাকায় পাথর কুড়িয়েই চলে তাদের জীবন ও সংসার।

অব্যাহত শীতে কর্মজীবী মানুষের কর্মক্ষেত্র সীমিত হয়ে পড়েছে। বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সংসারে বাড়তি আয়ের জোগান দিতে নারীরাও মাঠে কাজ করছে। ঋণের কিস্তি পরিশোধসহ সংসারের বাড়তি জোগান দিতে প্রতিটি পরিবারের নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে মাঠে কাজ করছেন। বছরের সারা সময় এই ধারাবাহিকতা থাকলেও বিপাকে পড়তে হয় শীতকালের তিনটি মাস । ভারী শিল্পকারখানা না থাকায় এই জেলার মানুষের জীবনজীবিকার অনেকটায় নদী কেন্দ্রিক। তীব্র শীতে নদীর ঠান্ডা জলরাশি থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়ে পড়ে দুরূহ। থমকে যায় অভাবি মানুষের জীবনজীবিকা। শীতের বরফগলা পানিতে নেমে এখন পাথর উত্তোলন করছেন নারীরা। প্রতিদিন সকালে ছোট্ট একটি মাছ ধরার জাল নিয়ে তারা নেমে পড়ছেন নদীতে। এভাবেই পঞ্চগড় জেলা সদরের করতোয়া, তালমা, চাওয়াই, তেঁতুলিয়ার মহানন্দা, ডাহুক, শাও নদীতে পাথর উত্তোলন করে আসছেন কয়েক হাজার নারী পাথর শ্রমিক।

পঞ্চগড় জেলা শহরের ব্যস্ততম করতোয়া সেতু দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় সবার নজর পড়ে করতোয়া নদীতে হাঁটু অথবা কোমর সমান পানিতে নেমে মাছ ধরার ছোট্ট জালে করে নুড়িপাথর উত্তোলন করছেন নারী পাথর শ্রমিকরা। পানির নিচের বালু জালে তুলে তা পানিতে সেচে সংগ্রহ করেন নুড়িপাথর। আর পানি থেকে তোলা ছোট ছোট নুড়িপাথর রাখছেন ডাঙ্গায় রাখা বস্তায়। আর বস্তাভর্তি হলে সেটি ঘাসের ওপর রেখে স্তূপ করছেন। বিকালে ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ীরা সেখানে এসে মেপে নিয়ে নগদ টাকা প্রদান করছেন। এ চিত্র নিত্যদিনের। মাঝখানে বিরতি শুধু বর্ষায়। তখন নদী পানিতে থাকে টইটম্বুর। এই সময়টা বাদ দিলে বাকি দিনগুলো চলে তাদের নদীতে নুড়িপাথর সংগ্রহ করেই। এভাবে প্রতিদিন পাথর তুলে তারা উপার্জন করেন তিন থেকে পাঁচশ টাকা। গৃহকর্তার আয়ের সঙ্গে এই টাকা জোড়াতালি দিয়ে কোনোভাবে তাদের দিন কেটে যায়।

পঞ্চগড় পৌর এলাকার রামের ডাঙ্গা মহল্লার সাহেদা বেগম (৫০) জানান, আমাদের জীবনটাই করতোয়া নদী কেন্দ্রিক। নদী থেকে পাথর না তুলতে পারলে আমাদের পেটে ভাত যায় না। শুধু আমি একা নই; আশপাশের অনেক মহিলাকে নিয়ে সকালে সংসারের সব কাজ শেষ করে আমরা নদীতে নামি। সঙ্গে করে নিয়ে যাই বাড়ির গরু-ছাগলও। নদীর মাঠে সেগুলো চড়তে দিয়ে আমরা নেমে পড়ি নদীতে। দুপুরের খাবার খাই নদীর বালুচরে বসেই। সারাদিন চার-ছয় সিএফটি পাথর তুলতে পারি। এতে করে কোনোদিন ৩০০ আবার কোনোদিন ৫০০ টাকা পর্যন্ত পাই। এভাবেই চলে আমাদের সংসার।

নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বিএনপি

নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জামায়াত

সাঘাটায় নতুন ইউএনও আশরাফুল কবিরের যোগদান

গঙ্গাচড়ায় আগাম আলু চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কৃষকের

বিএসএফের উচ্চক্ষমতার সার্চলাইটে কৃষিতে সর্বনাশ

নবাবগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ১১ বাড়ি ও ৭ গরু, নিহত ১

ভূরুঙ্গামারীতে আট ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

বাংলাদেশের ফসলের ক্ষেতেও ভারতীয় আগ্রাসন

যে কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক শিবির নেতা

খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল