৪৯তম বিসিএসের (শিক্ষা ক্যাডার) চূড়ান্ত ফলাফলে সর্বকনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার খাদিজা আক্তার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা। অনার্সের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগেই এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তিনি।
খাদিজা মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের মরহুম আব্দুল আজিজ ও হাজেরা বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা। তিনি মধ্যনগর বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে খাদিজা আক্তার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এই অর্জন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।আজকের এই আনন্দঘন সময়ে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে আমার বাবাকে। আমার মা, ভাই, শিক্ষক ও বন্ধুবান্ধবদের সহযোগিতা ছাড়া এটি কখনোই সম্ভব হতো না। আমি আমাদের পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য কাজ করতে চাই।এজন্য সবার দোয়া প্রত্যাশী।
শিক্ষক মো.রাশিদ আলম বলেন, খাদিজা ছিল অত্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই তার পড়ালেখার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। সে আমাদের মধ্যনগরের গর্ব। তার এই সাফল্যে আমরা সবাই আনন্দিত ও গর্বিত।
প্রতিবেশী ও খাদিজার ফুফা মজিবুর রহমান বলেন, খাদিজা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পরিশ্রমী ও বিনয়ী মেয়ে। গ্রামের সবাই তার এই সাফল্যে খুব খুশি। আমরা বিশ্বাস করি,সে একদিন বড় কিছু করবে এবং এলাকার সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।
এদিকে একই বিসিএসে গণিত ক্যাডারে সারাদেশে প্রথম হয়েছেন মধ্যনগরেরই আরেক মেধাবী শিক্ষার্থী মো.অলি উল্লাহ। তিনি উপজেলার বংশীকুন্ডা গ্রামের মো.আব্দুল হেকিম ও মনোয়ারা খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে।বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন।
দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর এই সাফল্যে মধ্যনগরজুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। শুভাকাঙ্ক্ষী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী তাদের এমন অর্জনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকজুড়ে শুভেচ্ছা ও শুভকামনায় ভরে উঠেছে টাইমলাইন।