মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার সাথে সাথে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে ছাত্র জনতা। মিছিল–সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। উচ্ছ্বসিত জনতা এক অপরকে মিষ্টিমুখ করান।
সোমবার সকাল ১১টায় রায় দেয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয় এবং ২টা ৫০ মিনিটে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।
শেখ হাসিনার মামলার রায় শোনার জন্য সোমবার সকাল থেকেই সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিপুল জনসমাগম ঘটে। ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। রায় ঘোষণার অপেক্ষায় তারা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
রায়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহীদ মিনার এলাকা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। ‘এই মুহূর্তে খবর এলো-ফ্যাসিস্টের ফাঁসি হলো’, ‘এই মুহূর্তে খবর এলো-হাসিনার ফাঁসি হলো’— এমন স্লোগান দিতে দিতে উপস্থিত জনতা মিষ্টি বিতরণ করেন। অনেকে শুকরিয়া আদায় করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন।
মৃতুদণ্ডের রায় ঘোষণার খবর নিশ্চিত হওয়ার পর সর্বস্তরের মানুষের খণ্ড খণ্ড মিছিল শহীদ মিনারে পৌঁছায়। মিষ্টিমুখ করিয়ে ও মাটিতে বসে অনেকে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক মানুষ মিছিলসহ জিন্দাবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে ফিরে সমাবেশ করেন।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে উল্লাস আর উচ্ছাস প্রকাশ করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার হয়ে কোর্ট পয়েন্টসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রায়কে ঘিরে সিলেটে সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন। বর্ধিত নিরাপত্তার মধ্যেও বিকেল পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমের বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকও সকাল থেকে শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন।