হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুন্ডপুর চা বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাতে বাগান বন্ধ ঘোষণা করে ব্যবস্থাপকসহ সকল কর্মকর্তা বাগান ছেড়ে চলে যান এবং একই সঙ্গে শ্রমিকদের কাজে না আসতে জানিয়ে দেয়া হয়। তাছাড়া বাগানের ব্যবস্থাপক শামসুদ্দিন হক ভুইয়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বাগান বন্ধ ঘোষণা করায় পাঁচ শতাধিক চা শ্রমিক বিপাকে পড়েছে।
জানা যায়, শ্রমিকদের ঘরের ভাঙ্গা দরজা জানালা ঠিক না করে ব্যবস্থাপক বাগান থেকে তিন ট্যাক্টর গাছ চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগে বিকেলে বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি অনিল ভুমিজ ও সেক্রেটারি সমীর কর্মকারের নেতৃত্বে একদল শ্রমিক হঠাৎ ম্যানেজারের বাংলোতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাংলোর দুটি দরজা ভেঙে ফেলে এবং ম্যানেজারকে শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করে। ম্যানেজার কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পান।
ম্যানেজার শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সম্প্রতি বাগানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ম্যানেজার কঠোর অবস্থান নেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু শ্রমিক নেতা ও কর্মী সাধারণ শ্রমিকদের উসকে দেয়। তাদের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বাগানে বাংলোর সামনে অবস্থান নেন এবং বিকালের দিকে তারা দলবদ্ধ হয়ে বাংলো ঘেরাও করে হামলা চালায়।বিনা কারণে কিছু শ্রমিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। নিয়মশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করলে তারা ক্ষুব্ধ হয় এবং আজ প্রাণনাশের চেষ্টা করে।
এদিকে ঘটনাটির পর বাগানের মালিকপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রোববার থেকে চা বাগানটি লেঅফ (ছুটি) ঘোষণা করেছে। বাগান এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাগানের পঞ্জায়েত সভাপতি অনিল ভোমিজ জানান, ম্যানেজারের ওপড় তারা কোন হামলা করেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। কিন্তু ম্যানেজার আমাদের কোনো কথা না শুনেই বাগান বন্ধ করে দেন। এখন বাগানের প্রায় ৫০০ শ্রমিক কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেক শ্রমিকের ঘরে খাবার নেই।
থানার ওসি তদন্ত কবির হোসেন জানান, চাগানের ব্যবস্থাপক থানা জিডি করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।