হোম > বাণিজ্য

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

রপ্তানি আয়ে সরকার ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন করতে চায় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেন, বস্ত্রশিল্পে যেন একই ভুল পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে সরকার সতর্ক রয়েছে। শিল্পোন্নয়ন, সহায়কনীতি, বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা নেতৃত্ব ও গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা—সবার সমন্বয়ে বস্ত্র খাত এগিয়ে যাবে। আমরা রপ্তানি আয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের অবদানই ৮৬ শতাংশ। এ লক্ষ্য পূরণে শিল্প, একাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের একত্রে কাজ করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি না করতে পারলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বস্ত্র শিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব বিলকিস জাহান রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, আবেগময় অনেক সিদ্ধান্তের কারণে পাটশিল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা পাটের ক্ষেত্রে যে ভুল করেছি, বস্ত্র খাতে সেটা করবো না। আবেগের বশে কোনো সিদ্ধান্ত নেবো না। আমরা সমৃদ্ধির স্বর্ণশিখরে পৌঁছতে চাই। দেশের বস্ত্র খাত এখন শুধু একটা শিল্প নয়, বরং অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। এই শিল্প দেশের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে বিরাট ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, বস্ত্র খাতের যে সমৃদ্ধি হয়েছে বেশকিছু মালিক নিজেরাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। বিদেশে গেছেন, বিনিয়োগ করেছেন এবং জ্ঞান অর্জন করেছেন। এ খাতে ২০ শতাংশ মুনাফা অর্জন হয়েছে, এটি সবার সামগ্রিক অর্জন। বস্ত্র খাতে সবাই খরচ বাঁচাতে চায়। এই শিল্পে খরচ বাঁচানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে যদি ভুল করি, তাহলে স্লিপ করবো। আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে চাই।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বস্ত্র ও পাটশিল্পের অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার সামনে এগুতে চায়। পাটশিল্পে অতীতে অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দুর্বৃত্তায়ন ও অব্যবস্থাপনার কারণে শিল্পটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। রঙিন স্বপ্ন দেখানো হয়েছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কিছু অর্জন করতে না পেরেই স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। এর ফলে সরবরাহ–চাহিদার ঘাটতি তৈরি হয়। আর প্লাস্টিক শিল্পের উত্থানে পাটপণ্য প্রাপ্যতা কমে যায়।

উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। মধ্যপ্রাচ্যের আছে ক্রুড অয়েল আর আমাদের আছে ১৮ কোটি মানুষ। এ মানবসম্পদকে দক্ষ করে তুলতে পারলে বস্ত্রশিল্প আরো সমৃদ্ধ হবে এবং অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।

পরিত্যক্ত পাটকল শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ও পাটের ব্যাগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, শিল্পগুলো ধীরে ধীরে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে ১৪টি শিল্প বেসরকারি খাতে গেছে। ৩০ বছরের লিজে আরো শিল্প হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সরকার একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। এক হাজার ৬০০-এর বেশি উদ্যোক্তাকে নিয়ে জলবায়ু ফান্ডের আওতায় একটি রিভলভিং ফান্ড গঠন করা হয়েছে। এখান থেকে পাটপণ্য কিনে পুনরায় বিক্রি করা হচ্ছে, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করছে। এবার বাণিজ্যমেলায় ১০ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশীয় ঐতিহ্যের পাটের ব্যাগকে আবার মূলধারায় ফিরিয়ে আনাই সরকারের লক্ষ্য। পাট ও বস্ত্রশিল্পকে স্থায়ীভাবে শক্তিশালী করতে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে তেলের দাম বাড়িয়েছেন। সরকার তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। তাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে।

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের এমডি খুঁজছে সরকার

টানা চার মাস ধরে রপ্তানি খাতে পতন

জাল ব্যান্ডরোলে ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি: এনবিআর

বেসরকারি খাতের বিকাশকে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে কৃষি ও জনশক্তির ব্যবহারের আহ্বান

ঢাকায় পর্দা উঠছে ১২তম এসএমই মেলার, ৬০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা

শীর্ষ ২০ খেলাপিতে ধসে পড়ছে এবি ব্যাংক

২.৬ শতাংশে নেমে আসবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি

সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়া পরিষদের দোয়া মাহফিল