আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার স্বর্ণের দামে পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) ভবিষ্যৎ সুদহার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যার প্রভাবে স্বর্ণের দর কমেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্পট গোল্ডের দাম ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৪,০০৫.৫৪ ডলার।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডলার সূচক গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, যা অন্যান্য মুদ্রায় স্বর্ণ কেনাকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেড এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ কমিয়ে ৩.৭৫ থেকে ৪.০০ শতাংশ সীমার মধ্যে নিয়ে এসেছে। তবে চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর ডিসেম্বর সভায় আরেক দফা হার কমানোর সম্ভাবনা কমেছে।
সিএমই গ্রুপের ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে ফেডের সুদহার ০.২৫ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনা এখন ৭৪.৮ শতাংশ, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৯১.১ শতাংশ।
এদিকে, দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে দুই হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে দুই লাখ ৯৬ টাকায়। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি চার হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি চার হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি তিন হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬০১ টাকা।