রাজধানীর পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন (৫৫) হত্যায় অংশ নেওয়া দুই শুটারকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই পেশাদার শুটার হিসেবে কাজ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দুজন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত সোমবার পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে।
স্বজনরা জানান, পুরোনো একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে রাজধানীর আফতাবনগরের বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা মামুনকে গুলি করে হত্যা করে। দুই বছর আগেও রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
পুলিশ বলছে, এই মামুন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ইমন-মামুন’ গ্রুপের অন্যতম প্রধান এই মামুন। একসময় ছিলেন আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবেই পুলিশের খাতায় নিহত মামুনের নাম রয়েছে।
পুলিশ বলছে, সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে হত্যার শিকার হওয়া মামুন একসময় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে মামুনকে গুলি করেছে। আরাফাত হোসেন নামের একজনের বর্ণনানুযায়ী, দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়েন। প্রথম গুলিটি হাসপাতালের ওপরের দিকে করেন। সেটি সোজা তিনতলার কাচে গিয়ে লাগে। এরপর মামুনের বুকের ডান পাশে গুলি করেন। তার হাতেও গুলি লাগে। তাকে পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিরা মাস্ক পরা ছিলেন। তার মধ্যে একজনের মাথায় ছিল ক্যাপ। ছয় থেকে সাতটি গুলি ছোড়েন তারা।