হোম > রাজধানী

বায়তুল মোকাররমে অজুর পানিতে পোকা, মুসল্লিদের ক্ষোভ

মাহমুদুল হাসান আশিক

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের অজুর পানিতে পোকা দেখা যাচ্ছে, যা মুসল্লিদের মধ্যে বিস্ময়ের পাশাপাশি ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অজুতে ব্যবহৃত পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পানিতে এ ধরনের পোকা মাঝে-মধ্যেই দেখা যায়। খাদেমদের অবহেলার কারণেই এমনটি হয়।

মসজিদের অজুখানায় গিয়ে দেখা যায়, পানিতে এক ধরনের পোকা নড়াচড়া করছে। যা দেখতে কুচকুচে কালো। এতে অনেকেই অজু করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছেন।

গত শুক্রবার মাগরিবের নামাজের জন্য অজু করার সময় এ দৃশ্য দেখা মুসল্লি ওমর ফারুক আমার দেশকে বলেন, সাইনবোর্ড থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামি বই মেলায় এসেছিলাম। নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ায় অজু করতে আসি। দেশের জাতীয় মসজিদে এমন দৃশ্য কল্পনাও করতে পারিনি। পানিতে এসব দেখে ঘৃণা লাগছে। পানির পরিচ্ছন্নতার অবস্থা ভয়াবহ। এই পানি মুখে নিয়ে কুলি করার কোনো অবস্থা নেই।

আরেক মুসল্লি লোকমান হোসেন বলেন, এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ নামাজ পড়তে আসেন। অজুর পানিতে যদি এসব থাকে, তাহলে আমাদের ধর্মীয় পবিত্রতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এ অবস্থা। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে অজু করেন, অথচ পানির এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়া উচিত।

সাইফুল ইসলাম নামে এক মুসল্লি বলেন, পানিতে একটু ময়লা থাকতে পারে যেহেতু খোলামেলা। কিন্তু কৃমির মতো দেখতে এসব মসজিদের পানিতে থাকা খারাপ দেখায়। আমরা চাই মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা দ্রুত ব্যবস্থা নিক। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই পানি ব্যবহার করে। এভাবে চলতে থাকলে বড় ধরনের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে। মসজিদের দায়িত্বশীলদের সচেতন থাকা উচিত।

আমার দেশ’র হাতে থাকা এ সংক্রান্ত ভিডিও পাঠিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালি বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা দেখে আমার কাছে স্বাভাবিকভাবে মনে হচ্ছে মশার লার্ভা। পানি নিয়মিত পরিষ্কার করলে মশার লার্ভা হওয়ার কথা না। এ রকম নোংরা পানি মুসল্লিদের পেটে গেলে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি করতে পারে।

মুসল্লিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ আমার দেশকে বলেন, জমে থাকা পানিতে মশার বিভিন্ন ধরনের লার্ভা হয়। এই লার্ভাতো এডিস-ইজিপ্টির লার্ভাও হতে পারে। যদি এরকম কিছু হয় তবে এটি মুসল্লি ও আশপাশের মানুষের জন্য উদ্বেগের বিষয়। যদি নিয়মিত এই পানি পরিষ্কার করা হতো তাহলে মশার লার্ভা তৈরি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় মসজিদের মতো জায়গায় দায়িত্বশীলদের দায়িত্ববান হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, এই লার্ভাগুলো মাঝে মধ্যে আমিও দেখি। সঙ্গে সঙ্গেই পরিষ্কার করতে বলি। আমরা নোংরা হলেই পরিষ্কার করার জন্য খাদেমদের বলি। কখনো কখনো দেখা যায় আমরা না বললে তারা একটু আলসেমি করে। আমরা এটা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিষ্কার করব।

রাজধানীতে ডিএমপির বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪৭

বিজয় দিবসে বিনামূল্যে হৃদরোগ চিকিৎসা ক্যাম্প

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু

‘গাইবে ওরা, শুনবে পৃথিবী’ মিউজিক্যাল ভিডিওর উদ্বোধন

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

মেট্রোরেল মঙ্গলবার ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে

বিমানবন্দরের পথে হাদি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

হাদির ওপর হামলা: সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশ বিকেলে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ঢাকার পল্টন থানায় পরিবারের মামলা