ঢাকা শহরের কোন এলাকায় বাড়ি ভাড়া কেমন হবে, বাড়ির সেবা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ ও তালিকা করে দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আইন অনুযায়ী ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্দেশ পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার গুলশান ডিএনসিসি নগরভবনে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের অধিকার এবং বাড়িভাড়া বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ বলেন, বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ সালে জারি হলেও আইনের অনেক কিছু মানা হচ্ছে না। কোন এলাকায় কত ভাড়া হতে পারে, সর্বোচ্চ কত, সর্বনিম্ন কত, আমরা সেটার একটি নীতিগত গাইডলাইন দেব। স্থানীয় জমির বর্তমান দামসহ সবকিছু মাথায় রেখে একটি সম্ভাব্য ভাড়ার তালিকা আমরা দেব। আইন হতে হবে বাস্তবসম্মত। আমরা এটি ডিসেম্বরের মধ্যে রেডি করতে পারবো আশা করছি, যেন নতুন বছর থেকে সবার সহযোগিতায় কার্যক্রমগুলো শুরু করতে পারি।
প্রশাসক বলেন, বাড়ি ভাড়া আইন আছেই, যদিও এই বিষয়ে জানা নিয়ে অনেকের মধ্যে গ্যাপ আছে। আমরা সেই বাড়িভাড়া আইনের আলোকেই কাজ করবো। আইনের ব্যাখ্যা করে আমরা ক্যাম্পেইন করবো, সচেতন করব সবাইকে।
এক উদাহরণ তুলে ধরে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, বাড়ির মূল্য যদি হয় ১ কোটি টাকা তাহলে বাড়ির মালিক ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া দিতে পারবেন এমন বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। কমন নির্দেশিকা আমরা রেডি করব এই বাড়িভাড়া আইনের সাপেক্ষে। সেখানে আমরা বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সময় কখন হবে, দুই বছর পরে বাড়াবে, কী কারণে বাড়বে, তার সুস্পষ্ট নির্দেশিকা থাকবে। বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স ঠিকমতো না দেওয়া হলে কোনো নাগরিক সেবা আমরা দেব না। বাড়ি ভাড়া বা বাড়ি বিক্রি করতে হলে হালনাগাদ হোল্ডিং ট্যাক্স দেখাতে হবে।
বাড়ি ভাড়া, ভাড়াটিয়া মালিকের ভাড়াটিয়ার চুক্তিনামা কেমন হবে, তার ডেমো আমাদের ওয়েবসাইটে থাকবে। সেখানে নির্দেশনা দেওয়া থাকবে, সে অনুযায়ী হবে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ডভিত্তিক ভাড়াটিয়া- বাড়ির মালিকদের সমিতি থাকতে হবে। যেন সব পক্ষই তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারে। সেখানে যদি কোনো সমাধান না করা যায়, পরবর্তীতে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে যাওয়া, কথা বলার সুযোগ থাকবে দুই পক্ষেরই।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়াসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।