রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ সাব্বিরের হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া লাম উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।
ছাত্রদল নেতা সাব্বিরের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি এলাকায়। বর্তমানে চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ১০ নম্বর রোডের বি-ব্লকের একটি বাসায় থাকতেন।
সাব্বিরের রাজনৈতিক সহকর্মী আকাশ বলেন, আমাকে তার রুমমেট বাবু ফোন দিয়ে জানায় সাব্বির ভাই দরজা খুলছে না। পরে আমি খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু দরজা খুলে না। পরে পাশের নির্মাণাধীন ভবনে গিয়েও দেখলাম, দেখা যায় না। পরে একটি রড এনে দরজা ভেঙে দেখি হাত বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে, ফ্যানের সঙ্গে একটি রশি ঝুলছে। পরে আশপাশের সবাইকে খবর দিয়ে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই বাসার অতিথি সোহেল জানান, আমি গতকাল (সোমবার) এই বাসায় এসেছি। আমাকে সকালে বললেন আমরা দুজনে নাস্তা করব। পরে আমাকে ১০০ টাকা দিয়ে চারটি পরোটা, ডিম ভাজি ও সবজি আনতে বলেন। ফিরে এসে দেখি ভাই আর দরজা খুলছেন না। এরপর আমি দারোয়ানকে বলি সাব্বির ভাই তো দরজা খুলছেন না। তিনি বলেন আবার ডাক দেন। এরপর আকাশ ভাই এসে দরজা ভেঙে দেখেন হাত বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছেন। ফ্যানের সঙ্গে একটি রশি ছিল সেটি ছিঁড়ে গেছে, গলায় দাগ রয়েছে।
ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, মোহাম্মদপুর থানার এক ছাত্রদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে হাত বাঁধা ছিল। গলায়ও দাগ রয়েছে। যেই বাসায় ঘটনা ঘটেছে আমরা সেই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি এখনো বুঝতে পারছি না। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে।
সাব্বিরের মৃত্যুর খবরে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে অনেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।