ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশু পাচারকালে দুই নারীকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। তাদের নাম- নাহার ও হাসিনা। আটকের পর ওই দুই নারীকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঢামেক হাসপাতাল ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে সামনে থেকে ওই দুই নারীকে আটক করেছে ডিউটিরত আনসার সদস্যরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আলমগীর হোসেন জানান,১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন নারী একজন ছেলে শিশুকে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিউটিরত আনসার সদস্যরা বাঁধা দেয়। পরে তাদের দুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তারা জানায়, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকা নাহার নামে একটি মেডিকেল সেন্টারের মালিক নাহার ও তার বোন হাসিনা ৫০,০০০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুটিকে অন্য জায়গায় নিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছিল। তারা কমিলা বেগম নামের এক নারীর সাথে ৫০ হাজার টাকা কন্টাক্ট করে ও সুকৌশলে বাচ্চাটাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে যাওয়ার সময় আমাদের হাতে ধরা পড়ে।
তিনি আরো জানান, তারা আরো জানায় বিভিন্ন অসহায় নারীদের এভাবে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাচ্চাকে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তারা দুইজন আরো স্বীকার করে শিশু পাচার ও শিশু ক্রয় বিক্রয় এর সাথে তারা জড়িত। পরে ওই নারী দুজনকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই শিশু বাচ্চা মা জানান,তার অপারেশনে জন্য ঢামেকে ২২ হাজার টাকা খরচ করেছে আর বাকি টাকা দিয়ে এই শিশুটিকে তারা অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিবেন। পরবর্তী ওই নারী আর শিশুটিকে দিতে চায় না এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে দেয় দেয় না ওই পাচারকারী নারীরা। গত (২৯ তারিখে) সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় কমিলা বেগম। আজকে তারা সুকৌশলে বাচ্চাকে নিয়ে আগে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে।
আটককৃত নাহারের ছেলে ফাহিম জানায়, বাচ্চার মা কামিলা অসহায় গরীব আমরা তাকে বাসায় রেখে তার দেখাশোনা করাই। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তার জরায়ুতে একটি সিস্ট হয়েছিল এবং পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি, আমার মা ও খালা শিশু পাচারকারীর চক্রের সদস্য নয়। ওই মহিলাকে সাহায্য করতে এসেই আমার মা ও আমার খালাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের একটি নাহার মেডিকেল সেন্টার নামে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় হাসপাতাল রয়েছে।