নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নরসিংদীর ডিসি, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও এসি ল্যান্ডকে এই নির্দেশ দেন।
এছাড়া নবীনগরের মেসার্স সামিউল ট্রেডার্সকে বালু উত্তোলনের ইজারা কেন বাতিল করা হবে না ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাইম হাসান অয়ন ও আব্দুল বাতেন।
এর আগে ২৫ আগস্ট মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার নরসিংদীর রায়পুরার মির্জারচর গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেনের পক্ষে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান। বিবাদী পক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জনৈক মোশারফ হোসেনের পক্ষে রিট দায়ের করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ বালুমহাল ইজারা নিয়ে নরসিংদীর রায়পুরার মির্জারচরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে শুধু আইন লঙ্ঘনই নয়, ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী চরলাপাং, মানিকনগর, সাহেবনগরসহ একাধিক গ্রাম শতাধিক খননযন্ত্রের গর্জনে দিনরাত কাঁপছে। ফসলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও শত শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
নোটিশে আরও বলা হয়, বালুমহাল ও মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।