হোম > আইন-আদালত

তিন বিচারপতিকে শোকজ করেননি প্রধান বিচারপতি: সুপ্রিম কোর্ট

আমার দেশ অনলাইন

জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির কাছে প্রধান বিচারপতি কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ প্রদান করেননি। বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবলমাত্র মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয় বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

মঙ্গলবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, প্রতিটি গণমাধ্যম আদালত সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে। জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিপুলসংখ্যক জামিন প্রদান করায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন মাননীয় বিচারপতি মহোদয়কে শো-কজ করে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তিন বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেন মহোদয়কে এই নোটিশ সম্পর্কে অবহিত করেছেন। বাস্তবে প্রধান বিচারপতি উল্লেখিত তিন বিচারপতি মহোদয়কে কোনো শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেননি। বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেবলমাত্র মামলাসংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন। যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়মিত দাপ্তরিক বিষয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত সংবাদে ব্যবহৃত তথ্যে মূল বিষয়টি বিকৃত ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া উক্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপনীয় একটি যোগাযোগ। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা হচ্ছে- প্রতিটি গণমাধ্যম আদালত সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করবে যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে। জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।

এর আগে গত ২৩শে অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের উপস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়, সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ একদিনে ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছেন। একটি বেঞ্চে একদিনে এত মামলার শুনানি কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন ওঠে। মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিপুলসংখ্যক জামিন দেয়ায় বিষয়ে তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

চকলেট খেতে বাধা দেয়ায় পুলিশকে ধমকালেন কামরুল

মেট্রোরেল দুর্ঘটনা: নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রুল

মেট্রোরেল দুর্ঘটনা: কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে পঞ্চম দিনের আপিল শুনানি শুরু

মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রতারণার মামলায় বিমানের ফ্লাইট স্টুয়ার্ড গ্রেপ্তার

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৪ জনের মামলা

ইনু-হানিফের অভিযোগ গঠনের আদেশ ২ নভেম্বর

এস আলমের ১৪শ বিঘা জমি জব্দ

লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ডের বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে: গোলাম পরওয়ার