হোম > আইন-আদালত

জুলাই আন্দোলনে অন্ধ হন ১১ জন, এক চোখ হারিয়েছেন ৪৯৩

চিকিৎসকের জবানবন্দি

সাইদুর রহমান রুমি

চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ৪৯৩ জন শিক্ষার্থী একচোখ চিরতরে হারিয়েছে। ১১ জন দুই চোখ চিরতরে হারিয়েছেন। ২৮ জন গুরুতর দুই চোখের দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগেছেন। ৪৭ জন একচোখে দৃষ্টি স্বল্পতায় ভুগছেন। সোমবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারাদেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক। আর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।

শুনানির সময় ট্রাইব্যু্নালে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা তার জবানবন্দিতে বলেন, গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৭ জুলাই থেকে আমাদের হাসপাতালে রোগী আসা শুরু হয়। ওইদিন আমরা পিলেটবিদ্ধ পাঁচজন রোগী পেয়েছিলাম। ১৮ জুলাই ছিল একটি রক্তস্নাত দিন।

ওইদিন দুপুরের দিকে আমার কাছে খবর আসে হাসপাতালে অনেক আহত রোগী এসেছে। ওইদিন প্রায় একশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর বাইরে আনুমানিক আরও একশ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আমি জরুরি বিভাগে এসে একটি ভয়াবহ চিত্র দেখতে পাই।

তিনি বলেন, যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিল তাদের বয়স ১৪-২৫ এর মধ্যে। তাদের কেউ কেউ এক হাত দিয়ে এক চোখ, দুই হাত দিয়ে দুই চোখ ধরে ছিল। ওইদিন রাত ৯টায় আমরা দশটা টেবিলে অপারেশন করতে থাকি। ১৯ জুলাই প্রায় একই চিত্র দেখতে পাই। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত দশটা টেবিলে অস্ত্রপাচার চলতে থাকে।

আমাদের হাসপাতালে যারা চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তাদের অধিকাংশ পিলেট ও বুলেট দ্বারা আহত হন। অধিকাংশ রোগীর কর্ণিয়া ছিদ্র হয়ে গেছে, তাদের চোখের ভিতরের সাদা অংশ ছিদ্র হয়ে যায়, অনেকের চোখ ফেটে গিয়েছিল। চোখের রেটিনায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল। ৪, ৫ ও ৬ আগস্ট আমরা অসংখ্য রোগী গ্রহণ করি তাদের চোখে অপারেশন করা হয়।

ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা বলেন, ওইসময় রোগীরা ভীত সন্ত্রস্ত ছিল। নিরাপত্তার কারণে অনেক রোগী তাদের নাম ঠিকানা গোপন করে ছদ্মনাম দিয়েছে। মোবাইল নাম্বার ভুল দিয়েছে, তাদের পরিচয় ভুল দিয়েছে।

জবানবন্দির সময় যাকিয়া সুলতানার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় দেখা যায়, আন্দোলনে আহত মোট ৮৬৪ জন হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে জয়-পলকের বিরুদ্ধে শিগগির চূড়ান্ত প্রতিবেদন

৭০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চিকিৎসক ঈষিতার মামলার আবেদন

বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ফেসবুকে পরিচয়ের পর হত্যা: বন্ধুসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে লিগ্যাল নোটিশ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৫ জানুয়ারি

ফজলুর রহমানের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: ট্রাইব্যুনাল

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ

কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা মামলায় ইনুর বিচার শুরু

ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের শুনানি আজ