বিয়ে গোপন করার দায়ে নুসরাত জাহান তাসনিম ওরফে তাসমিন নাহার নামে এক তরুণীকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রতারণার অভিযোগে কাজি আবু মুসা আহম্মদকে দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুল ইসলাম তালুকদার এ তথ্য জানান।
রায়ের আদেশে বলা হয়, আসামি নুসরাতের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৫ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ৪০৬ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়। অপর আসামি কাজি আবু মুসার বিরুদ্ধে ৪২০ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি পলাতক থাকায় সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার-এর লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অপর আসামি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালে রংপুরের জাহিদ হাসান নামে এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বাদী হয়ে ঢাকার আদালতে মামলাটি করেন। এতে নুসরাত জাহান ও কাজী আবু মুসাসহ তিনজনকে আসামি করেন তিনি।
মামলায় অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহরে আসামি নুসরাতকে বিয়ে করেন জাহিদ হাসান। এসময় আসামি নুসরাতকে অবিবাহিত (কুমারি) হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী সময় ২০১৮ সালে নুসরাতের ভাইকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। তবে তিনি এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি নুসরাত তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। এ বিষয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সালিস বসানো হলে দেনমোহর বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করে নুসরাত। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জাহিদ জানতে পারেন তার স্ত্রী পূর্বের বিয়ে গোপন করে তাকে বিয়ে করেন।