রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ‘ফোর স্টার’ গ্রুপের দুই সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন, পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন ও সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ হানিফ। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের। পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডে নেয়ার ওই আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এই মামলায় আসামি জনি ভূঁইয়া আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ, গোলাম কিবরিয়া মাঝেমধ্যে সময় পেলে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২, ব্লক-বি এর ১৭১ নং হাউজের ৬ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসে দোকান মালিক তার বন্ধু মাসুদ রানার সাথে কথাবার্তা বলতেন। পূর্বের ন্যায় ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই দোকানে যায় সে। সেখানে আগে থেকেই সোহেল এবং মাসুমরা পূর্ব পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিলে জনি ভূঁইয়া, সোহাগ, রোকনরা দোকানে অতর্কিতভাবেভাবে প্রবেশ করে। কেউ কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা পিস্তল দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গোলাম কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের ফ্লোরে পড়ে গেলে আসামিরা তাদের হাতে থাকা পিস্তলসহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারা পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন জনিকে আটক করে এবং অন্যান্য আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় রিকশাচালক মো. আরিফের রিকশায় উঠে। রিকশা চালককে দ্রুত রিকশা চালাতে বলে। রিকশাচালক দ্রুত রিকশা না চালাতে পারলে আসামিরা তাকেও গুলি করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজন গোলাম কিবরিয়াকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রিকশাচালক আরিফ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা।