ঢাকার অব্যাহত বায়ু দূষণ রোধে সাড়ে ছয় বছরের বেশি সময় আগে উচ্চ আদালতের দেওয়া ৯ নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পুরক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি উর্মি রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এক আদেশে তিন সপ্তাহের মধ্যে এসব আদেশ বাস্তবায়নে নির্দেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ঢাকা শহরে মাটি, বালি, বর্জ্য পরিবহনকৃত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, নির্মাণাধীন এলাকায় নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, সিটি করপোরেশন কর্তৃক সড়কে পানি ছিটানো, রাস্তা, কালভার্ট, কার্পেটিং, খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন, কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ, সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা পার হলে তা জব্দ, ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা ইত্যাদি।
আবেদনের পক্ষে শুনানিকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় বায়ুদূষণ অব্যাহতভাবে বাড়ছে। কিন্তু হাইকোর্ট যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছিল তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা রয়েছে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। এগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পুরক আবেদন করা হয়। আদালত নির্দেশনাগুলো তিন সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহজাহান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খসরুজ্জামান। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরশিদ আক্তার।