জুলাই গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যাল। সেই সাথে তাদের সব স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তেরও আদেশ দেওয়া হয়। রাজসাক্ষী হওয়া
মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ ঐতিহাসিক রায় দেন।
মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাদের পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে রায় ঘোষণার পূর্বে সকাল সাড়ে ৮টায় কারাগার থেকে কড়া পুলিশী প্রহরায় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় উঠানো হয়। এ সময় তার পরনে ছিল হালকা আকাশী রঙের হাফ শার্ট ও খাকি প্যান্ট।
কাঠগড়ায় প্রায় পুরো সময় ধরে তিনি তসবিহ ও দোয়া দুরুদ পড়ে কাটান।
বেলা ১২টা ৩৪ মিনিটে রায় পড়া শুরু হলে কয়েকজন পুলিশ তাকে ঘিরে রাখে। এ সময় আদালত কক্ষের মধ্যে কাচের ঘরে বসে ডান পাশে থাকা টেলিভিশনের দিকে তিনি মাঝেমধ্যে তাকিয়ে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেখেন।
রায়ের পর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে আদালত থেকে নেওয়ার সময় তিনি বলেন, জুলাই শহীদদের স্বজনদের দিকে তাকিয়ে বলেন, আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি লজ্জিত। আমি দেশবাসীর কাছেও ক্ষমা চাই।
ট্রাইবুনালের কাঠগড়া থেকে পুলিশ তাকে আবার হাজত খানায় নিয়ে যায়।