নিম্নমানের গুঁড়া দুধ বিক্রি
নিম্নমানের গুঁড়া দুধ বিক্রির দায়ে এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আলমের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সোমবার এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের বাজারজাতকৃত গুঁড়া দুধের (গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার) মামলার শুনানিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বীথি।
২৪ নভেম্বর মামলার ধার্য তারিখ থাকলেও মো. শাহাবুদ্দিন আলম হাজির হননি।
নামে ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার বলা হলেও গোয়ালিনীতে সিকিভাগও পাওয়া যায়নি। প্রোটিন ৩৪ শতাংশ থাকার কথা, পাওয়া গেছে মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ। পরীক্ষাগারে ভয়াবহ জালিয়াতি ও মানহীনের তথ্য সামনে এসেছে। উপাদানের কোনো সূচকেই পরিপূর্ণ মাত্রায় পাওয়া যায়নি ওই প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধে।
ল্যাব রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুগ্ধ চর্বির (ক্রিম) নির্ধারিত মান ৪২ শতাংশ অথবা তার ওপরে থাকার কথা, সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ৭.৫৮ শতাংশ। আবার বিডিএসের মান অনুযায়ী প্রোটিন ন্যূনতম ৩৪ শতাংশ থাকার কথা, সেখান পাওয়া গেছে মাত্র ৯.৫০ শতাংশ।
এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোহাং কামরুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে লেখা হয়েছে, দুধ মানসম্পন্ন নয় সন্দেহ হলে ৬৫০ টাকা দিয়ে ১ কেজি গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার ইনটেক অবস্থায় সংগ্রহ করি। এর নমুনা জনস্বাস্থ্য খাদ্য পরীক্ষাগার এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়। ২০২৫ সালের ২১ অক্টোবর প্রাপ্ত রিপোর্টে গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার ইনটেক মানসম্পন্ন নয় বলে সনদপত্র প্রদান করেছে।
স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে গত ৩ নভেম্বর। এজাহারে এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আলমকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। কোম্পানিটি গোয়ালিনী ডেইলী ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার বাংলাদেশে মোড়কজাত ও বাজারজাত করে আসছে।